আবুধাবি, ১৯ সেপ্টেম্বর : ওমান হারল বটে তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের টেনশন দিয়ে গেল। আমির কালিমের নাম আগে কে শুনেছে? হার্দিক ডিপ স্কোয়ার লেগে অসাধারণ ক্যাচে তাঁকে ফিরিয়ে ড্রেসিংরুমে স্বস্তি ফেরান। না হলে কালিম আর হাম্মাদ মির্জার (৫১) জুটিতে ৯৩ রান উঠে যাওয়ার পর অঘটনের গন্ধ উড়তে শুরু করেছিল। শেষমেশ অবশ্য ভারত জিতল ২১ রানে। জিতে গ্রুপে অপরাজিত থাকল (asia cup)।
সূর্য এদিন ব্যাট করতে নামেননি। কিন্তু ডাগ আউট বসে জনা দশেক ব্যাটারকে ২২ গজে পাঠিয়েছেন। পরে যখন ভারত ফিল্ডিং করল, তখন আটজনের হাতে বল তুলে দিলেন। ওমানের মতো প্রতিপক্ষ সামনে থাকলে এরকমই কিছু হওয়ার ছিল। কিন্তু কে জানত একটা অ্যাসোসিয়েট দল এমন চ্যালেঞ্জ দেবে চ্যাম্পিয়নদের।
সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এটা ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচ। ওমানকে হারিয়ে ভারত গ্রুপের সব ম্যাচ জিতে শীর্ষে থাকল। রবিবার আবার পাকিস্তান ম্যাচ। তাই ওমান কত ভাল খেলল সেই আলোচনায় পিছিয়ে পড়ছে। বরং হ্যান্ডশেক বিতর্ক পিছনে ফেলে জেগে উঠেছে দুবাই। গনগনে উত্তাপে ভারত-পাক ম্যাচের আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছে (asia cup)।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ওমানকে হারাতে আট বোলার লাগল কেন? আসলে দুই ওপেনার যতীন্দর সিং (৩২) আর আমির কালিম (৩৩) মিলে ৫৬ রান তুলে দেওয়ার পর ওমান কিন্তু প্ল্যাটফর্ম পেয়ে গিয়েছিল। পরে মির্জাও খুব ভাল ব্যাট করলেন। কিন্তু ২০ ওভারে তারা ১৬৭-৪-এর বেশি যেতে পারেনি। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা একটা ফ্যাক্টর হল। এদিনই আবার প্রথম ভারতীয় হিসাবে ৬৪ ম্যাচে ১০০ উইকেট হয়ে গেল অর্শদীপ সিংয়ের।
এই ম্যাচে পরিবর্তন হবে সেটা বোঝাই গিয়েছিল। বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হল। সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তী। এলেন হর্ষিত রানা ও অর্শদীপ সিং। আর সুর্য টসে জিতে আগে ব্যাট করলেন। তিনি বলছিলেন অনেকেই প্রথম দুটো ম্যাচে ব্যাট পায়নি। ভারত প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট করেছে মোটে ২০.২ ওভার। সুপার ফোরের আগে সূর্যরা তাই ব্যাট করলেন। অতঃপর ২০ ওভারে ১৮৮/৮।
অচেনা প্রতিপক্ষ। কিন্তু যেভাবে শুক্রবার খেলা শুরু হল সেটা বেশ নাটকীয়। শাহ ফয়জল তাঁর প্রথম ওভারেই বোল্ড করে দিলেন শুভমন গিলকে (৫)। ম্যাচের সেটা দ্বিতীয় ওভার। বলটা ভিতরে এসেছিল। শুভমন ইনসাইড আউট খেলতে গিয়েছিলেন কভারে। বল ভিতরে ঢুকে এল। এই নিয়ে তিন ম্যাচে ব্যর্থ হলেন টেস্ট অধিনায়ক। আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট দুবাইয়ের মতো স্পিনার ফ্রেন্ডলি নয়। এই মুভমেন্ট শুভমন আন্দাজ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন-পুজো উদ্বোধন : আজ থেকে শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী
পাওয়ার প্লে-র পর ভারত ছিল ৬০/১। সঞ্জু তিনে এসে প্রথমে সমস্যায় পড়েছিলেন। কিন্তু অভিষেকের পাশে দ্রুত সামলে নেন। অভিষেক শুরু থেকে চালিয়ে খেললেও সঞ্জু আগে ধাতস্ত হন। পরে তিনিও চালাতে শুরু করেন। কিন্তু অভিষেক ৩৮ রানে উইকেট দিয়ে গেলেন জিতেন রামানন্দিকে।
সূর্য হার্দিককে চারে তুলে আনেন। হার্দিক প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট পাননি। কিন্তু এক বলে খেলে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে যান ১ রানে। ২ রানে দুই উইকেট চলে যাওয়ার পর এবার যিনি নামলেন সেই অক্ষরও(২৬) প্রথম দুটি ম্যাচে ব্যাট পাননি। সুর্য তাঁকেও আগে পাঠালেন। ততক্ষণে সঞ্জু ওয়েল সেট। সঞ্জু শেষমেশ ৫৬ রান করেছেন। তিলক ভার্মা পরে নেমে করেন ২৯ রান। সবাইকে নামিয়ে সুর্যর আর ব্যাট করা হয়নি।