জোহানেসবার্গ: ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা (India- South Africa) ছিল ৭৫/৫। অদ্ভুতভাবে রাতের দিকে বল অনেকটা ঘুরল। আর স্পিনারদের বল থমকে এল। সূর্য পায়ে চোট পাওয়ায় নেতৃত্ব দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি স্পিনারদের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। অতঃপর কুলদীপের ভেলকিতে পরপর উইকেট হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রশ্ন উঠতে পারে, ওয়ান্ডারার্সে বল এত ঘুরল কীভাবে। উত্তর যাই আসুক, ভারত তৃতীয় ম্যাচ ১০৬ রানে জিতে টি-২০ সিরিজ সমতায় রেখে দিল। বাড়তি সংযোজন, জন্মদিনে ১৭ বলে ১৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট কুলদীপ যাদবের।
টার্নার বানিয়ে বুমেরাং হল আফ্রিকানদের? বল শুধু গ্রিপ করেনি, পরের দিকে এত থমকে এসেছে যে স্ট্রোক খেলতে গিয়ে টপ এজ করে আউট হয়েছেন মার্করামের মতো কয়েকজন। আগের ম্যাচে হেনড্রিকস একাই অর্শদীপদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এখানে তিনি আউট হলেন ৮ রান করে। ক্লাসেন (৫), ব্রিটজিক (৪), মার্করাম (২৫) কেউ এদিন ভারতীয় স্পিনের মোকাবিলা করতে পারেননি। একমাত্র মিলার (৩৫) কিছুটা লড়লেন। কিন্তু উল্টোদিকে কাউকে পাননি। পেলে ১৩.৫ ওভারে ৯৫ রানে গুটিয়ে যেত না দক্ষিণ আফ্রিকা।
পারথ আর জোহানেসবার্গের মধ্যে একটা চিরকালীন মিল ছিল। সেটা এই যে, দুটো মাঠই ফাস্ট বোলারদের স্বর্গ ছিল। সময়ের সঙ্গে চরিত্র বদলেছে। এখন আর গায়ের উপর বল আসে না। কিন্তু দুটো মাঠেই বৃহস্পতিবার দুই ব্যাটারকে এমন দাদাগিরি করতে দেখা গেল যে, মনে হল মাঝে কয়েক হাজার মাইলের ব্যবধান থাকলেও মিল কোথাও আছেই দুই মহাদেশের ঐতিহ্যের মাঠে।
ওয়ার্নারের জন্য মোটিভেশন যদি মিচেল জনসন হন, তাহলে সূর্যকুমার যাদবের কে? ব্যক্তি নন, হতে পারে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা। হতে পারে তিনি কেন একদিনের দলে, এই প্রশ্ন ওঠা। ওয়ান্ডারার্সে ৫৫ বলে সেঞ্চুরি করে গেলেন স্কাই। শেষমেশ ৫৬ বলে ১০০ করে ফিরলেন ভারতকে দুশোর দরজায় পৌঁছে দিয়ে। সাতটি চার, আট ছক্কা। এখানে সূর্য সেটাই করলেন, যা ডেনিস লিলির ওয়াকাতে এদিন শাহিন আফ্রিদিদের নিয়ে করেছেন ওয়ার্নার।
আরও পড়ুন- ধান কেনায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক দাওয়াই রাজ্যের
মার্করাম ভারতকে (India- South Africa) আগে ব্যাট করতে দেওয়ার পর ২৯ রানের মধ্যে শুভমন (৮) ও তিলক (০) ফিরে যান। মজার ব্যাপার হল ফাস্ট বোলারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রথম দুটো উইকেট নিয়ে গেলেন স্পিনার কেশব মহারাজ। পরের উইকেটে অবশ্য ১১২ রানের পার্টনারশিপ খেললেন যশস্বী জয়সোয়াল (৬০) ও সূর্যকুমার যাদব(১০০)। টি-২০ ক্রিকেটে সূর্যর এটা চতুর্থ সেঞ্চুরি।
ভারত ২০ ওভারে ২০১/৭ করলেও কয়েকটি জিনিস নিয়ে আলোচনার ব্যাপার রয়েছে। শুভমন রান পাচ্ছেন না। তিলক আবার ব্যর্থ । জিতেশও (৪)। জাদেজা (৪) রান আউট হয়ে গেলেন কিছু না করেও। রিঙ্কু(১৪) এদিন রান পাননি। তিনি রান পেয়ে গেলে ভারত আরও কিছুটা যেত। কখনও মিডল অর্ডার, কখনও লোয়ার মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ছে। আর ছ’মাস বাকি টি ২০ বিশ্বকাপের। দ্রাবিড়কে ভাবতে হবে। কুলদীপ জাদুতে অনায়াসে ম্যাচ জিতে এসব যেন এবার কার্পেটের তলায় না চলে যায়!