প্রতিবেদন: ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে অনুষ্ঠিত ২৪তম বিশেষ প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক ভারত-চিন সম্পর্কের নতুন দিশা নির্দেশ করবে বলে আশাবাদী দুই দেশ। এই বৈঠকে উভয়পক্ষই নিজেদের মধ্যে স্থিতিশীলতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, গত কয়েক বছরে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি কোনও দেশের জনগণের স্বার্থের অনুকূল ছিল না।
আরও পড়ুন-বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ নারী নাগরিক মঞ্চের
তিনি গত অক্টোবর মাসে কাজান শহরে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। এই বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে একটি নতুন দিকনির্দেশ করেছে এবং সীমান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নতুন প্রেরণা জুগিয়েছে। ওয়াং ই আরও বলেন, গত বছর অনুষ্ঠিত ২৩তম বৈঠকে সীমান্ত সংক্রান্ত মতবিরোধগুলি সামাল দেওয়া, সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং একটি সমাধানে পৌঁছনোর জন্য নতুন ঐকমত্য তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে। ওয়াং ই আসন্ন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে চিনের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, চিন এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি বিশ্বাস করেন, ভারত এই শীর্ষ সম্মেলনকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ওয়াং ই সুস্থ ও স্থিতিশীল সম্পর্ককে উভয় দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের জন্য জরুরি বলে মন্তব্য করেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ওয়াং ই-কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় আছে এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা আরও ফলপ্রসূ হয়েছে। কাজান বৈঠকে উভয় দেশের নেতাদের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেন ডোভাল। তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্ণ হয়েছে।