প্রতিবেদন: বাংলাদেশের (Bangladesh Floods) বন্যার জন্য দায়ী নয় ভারত। জানিয়ে দিল ভারত সরকার। ত্রিপুরার ধলাই জেলায় গোমতী নদীর ওপরে থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে—বাংলাদেশের এই প্রচারের বিরোধিতা করল বিদেশমন্ত্রক। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে যে এটি বাস্তবে সঠিক তথ্য নয়। বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন বৃহস্পতিবার নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর অববাহিকা (ক্যাচমেন্ট) এলাকায় কয়েকদিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে চলতি বন্যা মূলত বাঁধের ভাটির দিকের বৃহৎ অববাহিকার জলের কারণে ঘটেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh Floods) সীমান্ত থেকে বেশ দূরে ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি উজানে ডুম্বুর বাঁধের অবস্থান। এটি কম উচ্চতার (প্রায় ৩০ মিটার) একটি বাঁধ। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি গ্রিডে যুক্ত হয় এবং ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যায়। প্রায় ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীর অববাহিকায় তিনটি জায়গায় (অমরপুর, সোনামুড়া ও সোনামুড়া–২) জল পর্যবেক্ষণ স্টেশন রয়েছে। উজানে অমরপুর জল পর্যবেক্ষণ স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির (প্রোটোকল) অংশ হিসেবে। এর আওতায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বন্যা সংক্রান্ত যেকোনও তাৎক্ষণিক তথ্য বাংলাদেশকে দিয়ে থাকে। বিদেশমন্ত্রক বলছে, বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত জলপ্রবাহ অত্যধিক বেড়ে যাওয়ার তথ্য বাংলাদেশকে পাঠানো হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার জেরে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। ভারতের পক্ষ থেকে জরুরি তথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার অভিন্ন নদীগুলিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি একটি যৌথ সমস্যা। এই সমস্যার কারণে উভয় দেশের মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এই সমস্যার সমাধানে ঘনিষ্ঠ পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি আন্তসীমান্ত নদী রয়েছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দায়ী করার প্রচার তথ্য দিয়ে নস্যাৎ করল ভারত।
আরও পড়ুন- হাসিনাকে রাজনৈতিক হেনস্থার ছক কষছে অন্তর্বর্তী সরকার?