গম্ভীরের লঙ্কা-ডুবি প্রথম সিরিজেই

প্রশ্ন আসছে, কারণ, শ্রীলঙ্কার প্রথম দলের ছ’জন চোট ও অসুস্থতার জন্য মাঠে নামতে পারেননি। তারপর এই হার গম্ভীর ও দলকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

Must read

কলম্বো, ৭ অগাস্ট : সিংহলি তারুণ্যের ঝাঁজে উড়ে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২৭ বছর পর শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হারল ভারত। টি-২০ সিরিজ ৩-০-তে জেতার পর মহারথীদের নিয়ে একদিনের সিরিজে নেমেছিলেন নীল জার্সিধারীরা। আরেকটা হোয়াইট ওয়াশ চর্চার মধ্যেই ০-২ হার! বুধবার তৃতীয় ম্যাচে ভারত হারল ১১০ রানে।
হারের এই অভিঘাতে কোচ গম্ভীরকে দেখা গেল জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করছেন সাপোর্ট স্টাফেদের সঙ্গে। আর সেটা ম্যাচের পর মাঠে দাঁড়িয়েই। কিন্তু লঙ্কা-ডুবির পর এখন এর অর্থ নেই। অনেক প্রশ্ন উঠবে। কেন শিবম দুবে ব্যর্থ হলেও খেলিয়ে যাওয়া হল। কেন ঋষভ পন্থকে প্রথম দুই ম্যাচে বাইরে রাখা হল। কেন ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এত পরীক্ষা হল। প্রশ্ন আসছে, কারণ, শ্রীলঙ্কার প্রথম দলের ছ’জন চোট ও অসুস্থতার জন্য মাঠে নামতে পারেননি। তারপর এই হার গম্ভীর ও দলকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।

আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ফের মৃত্যু হল চিতা শাবকের

১৩ ওভারের মধ্যে ভারত যখন ৮২/৬, তখন মনে হচ্ছিল সত্যিই এই দল গতবছর বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল? এই দল কয়েকদিন আগে বার্বাডোজে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে? এমন ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ের সঙ্গে এসব তথ্য মেলানো যাচ্ছিল না। নতুন কোচ। বুমরা ছাড়া সেরা দল। কিন্তু মনে হচ্ছিল দ্রাবিড় সরে যেতেই তাল কেটে গিয়েছে। উল্টোদিকে ওয়েলালাগে। আগেরদিন যে কাজ ভ্যান্ডার্সে করেছিলেন, সেটাই বুধবার তিনি করলেন পাঁচ উইকেট নিয়ে। স্রেফ জায়গায় বল, বাকিটা ব্যাটাররাই করলেন!
রোহিত ৩৫। বিরাট ২০। দুজনের কেউ ইনিংস টেনে নিয়ে যেতে পারলেন না। পারলে ভারত ২৬.১ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় না। এখানে পরে বল ঘুরল। খুব জরুরি ছিল সুইপ শট। যাতে স্পিনারদের লাইন নষ্ট হয়। দেখে মনে হয়নি এই ভারতীয় দলে কেউ সুইপ মারতে স্বচ্ছন্দ।
গম্ভীরের প্রথম একদিনের সিরিজ। ফেভারিট দলের এমন হাল কেন তাঁকে ভাবতে হবে। রোহিত তাও রান পেয়েছেন। বিরাট চরম ব্যর্থ। রাহুল, শ্রেয়সকে ফেরানো হয়েছিল। দুজনেই ব্যর্থ। এদিন রাহুলের বদলে খেলানো হয় ঋষভকে। তিনি ৬ রানের বেশি করেননি। যার অভিষেক হল, সেই রিয়ান ফিরে গেলেন ১৫ রানে। শিবম ৯।
যতক্ষণ গুণবর্ধনে উইকেটে ছিলেন, শ্রীলঙ্কা তিনশো পার করবে মনে হচ্ছিল। কিন্তু রিয়ান তাঁকে ফেরানোর পর মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ল। আবিষ্কা ৯৬ রান করেছেন। তবে শ্রীলঙ্কা ১৭১/১ থেকে ২৪৮/৭-এ আটকে গেল। রিয়ান পরাগ তাদের ইনিংসে ধস নামিয়ে দেন। অভিষেক ম্যাচে রিয়ান ৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
তাঁর হাতে এদিন ইন্ডিয়া ক্যাপ তুলে দেন বিরাট কোহলি। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে আবিষ্কা ছাড়া রান করেছেন নিশঙ্কা (৪৫), মেন্ডিস (৫৯)। তবে মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ায় তাদের রান আড়াইশোতে আটকে যায়।
১৯৯৭-এর পর শ্রীলঙ্কার সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল। তারা জিতল। অর্শদীপকে বাইরে রেখে মাঠে নেমেছিলেন রোহিতরা। নতুন বলের দায়িত্ব ছিল সিরাজের উপর। তিনি ৭৮ রান দিয়ে নেন সমরবিক্রমার (০) উইকেট। সিরিজে ভারতীয় বোলাররা কমবেশি সবাই ব্যর্থ। শিবমকে বোলার অলরাউন্ডার হিসাবে খেলানো হচ্ছে। কিন্তু রোহিত তাঁকে ৪ ওভারের বেশি বল দেননি। প্রত্যাশিতভাবেই এদিন দলে আসেন ঋষভ। বাঁহাতি ঋষভ খেললে ডান-বাঁ কম্বিনেশন তৈরি হয়। রাহুল দুই ম্যাচে রান পাননি। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে কামিন্ডু মেন্ডিস ২৩ নট আউট থেকে গেলেন। শেষ তিন ওভারে ৩১ রান তুলেছেন তাঁরা।

Latest article