ডাকেটের বাজবলে হার ভারতের

হেডিংলেতে শেষ দিনে বাজিমাত করল বাজবল! বেন ডাকেটের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড।

Must read

লিডস, ২৪ জুন : হেডিংলেতে শেষ দিনে বাজিমাত করল বাজবল! বেন ডাকেটের ঝোড়ো সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। বাঁ হাতি ইংরেজ ওপেনার শেষ পর্যন্ত থামলেন ১৭০ বলে ১৪৯ রান করে। আলাদা করে বলতে হবে জ্যাক ক্রলি ও জো রুটের কথাও। ডাকেটের সঙ্গে প্রথম উইকেটে দুশোর কাছাকাছি রান যোগ করে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ক্রলি। অন্যদিকে, অপরাজিত ৫৩ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দিলেন রুট। অধিনায়ক বেন স্টোকস করলেন ৩৩ রান। রুটের সঙ্গে ৪৪ রানে অপরাজিত রইলেন জেমি স্মিথ।

আরও পড়ুন-অবসরের পরে বিচারপতিদের সরকারি পদে নিয়োগ নয়, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দাবি তৃণমূলের

হেডিংলেতে চতুর্থ ইনিংসে সাড়ে তিনশোর বেশি রান তাড়া করে টেস্ট জেতার ঘটনা এর আগে দু’বার ঘটেছে। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৪০৪ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। আর ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৫৯ রানের লক্ষ্য সফলভাবে তাড়া করেছিল ইংল্যান্ড। এবার ৩৭১ রান তাড়া করে জিতলেন স্টোকসরা।
আগের দিন রাতে বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেঘলা পরিবেশ। এই পরিস্থিতি শুভমন গিলের তুরুপের তাস ছিলেন জসপ্রীত বুমরা। কিন্তু মঙ্গলবার দিনটা বিশ্বের এক নম্বর জোরে বোলারের ছিল না। মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ, শার্দূল ঠাকুররাও হতাশ করলেন। প্রসিধ ও শার্দূল দুটো করে উইকেট নিলেন ঠিকই, কিন্তু প্রচুর রানও বিলোলেন। ফলে সুইং সহায়ক পরিবেশেও স্বচ্ছন্দে ব্যাট করে গেলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। প্রথম ঘণ্টাতেই স্কোরবোর্ডে ৬৩ রান তুলে ফেলেছিলেন দু’জনে। লাঞ্চের সময় ইংল্যান্ডের রান ছিল বিনা উইকেটে ১১৭।
লাঞ্চের পরেও অনায়াসে ব্যাট করে গেলেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার। ডাকেট তো মাত্র ১২২ বলে সেঞ্চুরি করে ফেললেন। প্রথম উইকেটে ১৮৮ রান যোগ হওয়ার পর, ক্রলিকে আউট করলেন প্রসিধ। ততক্ষণে ক্রলি ৬৫ রান করে ফেলেছেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে, ৮ রান করে প্রসিধের দ্বিতীয় শিকার হলেন অলি পোপ। কিন্তু উইকেটে অন্য প্রান্তে ডাকেট তখন রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন ভারতীয় বোলারদের উপর। শার্দূলের বলে কভারে ডাকেটের চমৎকার ক্যাচ নিলেন পরিবর্ত ফিল্ডার নীতীশ রেড্ডি। শার্দূলের পরের বলেই লেগসাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে ঋষভ পন্থের গ্লাভসে ধরা পড়লেন হ্যারি ব্রুক (০)। ততক্ষণে অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন-ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে সরব দেব, একটাকাও দেয়নি কেন্দ্র

লিডসে ভারতের হারের অন্যতম কারণ জঘন্য ফিল্ডিং। দু’ইনিংস মিলিয়ে একগাদা ক্যাচ ফসকালেন ভারতীয়রা। এদিন ৯৭ রানে জীবনদান পেলেন ডাকেট। ক্যাচ ফেললেন সেই যশস্বী জয়সওয়াল। স্কোয়ার লেগে ঝাঁপিয়ে পড়েও ডাকেটের ক্যাচ মুঠোবন্দি করতে ব্যর্থ হন তিনি। হেডিংলে টেস্টে যা যশস্বীর চার নম্বর ক্যাচ মিস! হতভাগ্য বোলার মহম্মদ সিরাজ। এর আগে নিজের বলে ক্রলির ক্যাচ ফেলেছিলেন বুমরা। ইংরেজ ওপেনার তখন ৪২ রানে ব্যাট করছিলেন।
এর সঙ্গে যোগ করতে হবে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংসে ভারতের শেষ সাত উইকেট পড়েছিল মাত্র ৪১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ছয় উইকেট পড়ল ৩১ রানে! এভাবে চলতে থাকলে চলতি সিরিজ শুভমনদের ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন।

Latest article