প্রতিবেদন : পথ দেখিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই বিমা এবং স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল বিক্ষোভে শামিল হল ইন্ডিয়া জোট (INDIA)। মঙ্গলবার সংসদের মকরদ্বারের সামনে দীর্ঘক্ষণ চলল বিক্ষোভ। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, বর্ষীয়ান সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মহুয়া মৈত্র, সাগরিকা ঘোষ, জুন মালিয়া ছাড়াও এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার-সহ অন্যান্যরা৷ হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে মকরদ্বারের সামনে সোচ্চার হয়ে অবিলম্বে বিমা, স্বাস্থ্যবিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি জানান বিরোধী সাংসদরা৷ তাঁদের দাবি মানা না হলে অদূর ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘ আন্দোলনের পথেও হাঁটবেন তাঁরা, দাবি জানানো হয় এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেই৷
আরও পড়ুন- কেন বন্ধ বাংলার প্রাপ্য, জবাব দাও
উল্লেখ্য, এবারের সাধারণ বাজেটে যেভাবে বিমা ও স্বাস্থ্যবিমার উপরে ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রথমে সোচ্চার হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের কথা জানান তিনি৷ এখানেই থেমে না থেকে তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি লিখে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান৷ দলনেত্রীর পথে হেঁটে লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা৷ সোমবার রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেন, অবিলম্বে সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে৷ এই মর্মে গোটা ইন্ডিয়া জোটকে একসঙ্গে পথে নামার আর্জিও জানান তিনি৷ ডেরেক ও তৃণমূল কংগ্রেসের আর্জিতে সাড়া দিয়েই এরপর মঙ্গলবার পথে নামে গোটা ইন্ডিয়া জোট, যেখানে সংসদের মকরদ্বারের সামনে আয়োজিত হয় ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ৷ এই মর্মে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আমাদের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের দাবি এটা৷ মানুষের জীবনদায়ী ওষুধ এবং বিমার উপর থেকে জিএসটি প্রত্যাহার করতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা এই দাবি নিয়েই আমরা সোচ্চার হয়েছি৷ একই সুরে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সমালোচনা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের মধ্যবিত্ত সমাজের উপরে বড় আঘাত৷ মোদি সরকারের করের বোঝা বইতে গিয়ে এমনিতেই ক্লান্ত মধ্যবিত্ত সমাজ৷ তার উপরে এই বোঝা তারা বইতে পারবে না৷ এশিয়াতে সর্বাধিক চিকিৎসা খরচ ভারতে৷ এর উপরে জীবনবিমা, স্বাস্থ্যবিমার উপরে এই গব্বর সিং ট্যাক্স একেবারেই কাম্য নয়৷