ভারতীয় বিমান বাহিনীর (Indian Airforce) ৯৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে ৮ অক্টোবর ডিনারের মেন্যু ছিল অনবদ্য। দেখা গেল পাকিস্তানই ‘রোস্ট’ হয়ে গেল সেই মেন্যুতে। এয়ার ফোর্স ডে ডিনার পার্টির মেন্যুর ছবিটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সেখানে দেখা গিয়েছে, মেন্যুতে বিভিন্ন খাবারের নাম রাখা হয়েছে পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গার নামে। যে সব জায়গায় ভারতীয় বায়ুসেনা হামলা চালিয়েছে, সেই সব জায়গার নাম দিয়ে তৈরী হয়েছে এক একটি পদের নাম। ভাইরাল সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মেন্যুতে থাকা খাবারের নামগুলি হল রাওয়ালপিন্ডি চিকেন টিক্কা মশলা, রফিকি রারা মাটন, ভোলারি পনির মেঠি মালাই, সুক্কুর শাম সাভেরা কোফতা, সারগোধা ডাল মাখানি, জ্যাকাবাবাদ মেওয়া পুলাভ এবং বাহাওয়ালপুর নান।
আরও পড়ুন-মোডেম নিয়ে পালিয়ে বিপাকে বরাহনগরে সোনার দোকানে খুন-ডাকাতির অভিযুক্তরা
এখানেই শেষ নয়, ডেসার্টের মধ্যে রয়েছে বালাকোট তিরামিসু, মুজাফফরাবাদ কুলফি ফালুদা এবং মুরিদকে সুইট পান। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ২৫ জন পর্যটক এবং এক স্থানীয়কে খুন করে। পাল্টা ভারত ৬ মে গভীর রাতে বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে সহ পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে। প্রায় ১০০ জনের জঙ্গিকে খতম করে ভারত। তারপরেই ভারতের ওপর পাকিস্তানের তরফ থেকে শেলিং শুরু হয়। অপারেশন সিঁদুর এর পরে পাকিস্তানের শেলিংয়ে ভারতের অন্তত ১৬ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়। স্বাভাবিকভাবেই দুই দেশের মধ্যে এরপর সংঘাত বাড়তে থাকে। ১০ মে-র ভোররাতে এরপর ভারতীয় বায়ুসেনা হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটি অকেজো করে দেয়।
আরও পড়ুন-এডিজি-র মৃত্যুতে ডিজি-সহ দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ স্ত্রীর
ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান অমরপ্রীত সিং জানিয়েছিলেন, লড়াই চলাকালীন পাকিস্তানের এফ-১৬ এবং জেএফ-১৭ শ্রেণির যুদ্ধবিমান সহ পাঁচটি জেট ভারত ধ্বংস করেছিল। পাকিস্তানের রাডার, কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার, হ্যাঙ্গার এবং রানওয়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এপি সিং জানান ভারতের কাছে একটি সি-১৩০ শ্রেণির বিমানের ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন রয়েছে এবং কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছিল। পাক ঘাঁটিতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও ধ্বংস হয়েছিল। জানা গিয়েছিল সেই হ্যাঙ্গারে এফ-১৬ বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ চলছিল।