প্রতিবেদন : কুয়েতকে হারানো যায়নি। আক্ষেপ, হতাশার মধ্যে ভারতীয় ফুটবল নিয়ে একরাশ
প্রশ্ন রেখেই শেষ হল সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) বিদায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কিন্তু তিনি সুনীল ছেত্রী। ক্যাপ্টেন, লিডার, লেজেন্ড হিসেবেই থেকে যাবেন ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসে।
বিদায়ী মঞ্চে আবেগ ধরে রাখার অনেক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার পর দর্শক, সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। চোখের কোণ ভিজে উঠল। শেষে কোচ, সাপোর্ট স্টাফ, সতীর্থরা ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুনীল। গ্যালারিতে তখন বিষণ্ণ মা, বাবা, স্ত্রী, বন্ধুরা। মা’র চোখেও জল। দু’হাতে মুখ ঢেকে দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সুনীল। সতীর্থদের অনেকের চোখেই জল। ম্যাচ জিতিয়ে তাঁদের অধিনায়ককে যে স্মরণীয় বিদায় জানাতে পারলেন না।
বিদায়ী ম্যাচ ঘিরে সুনীল সাগরে ভাসল কলকাতা। আর দর্শকঠাসা ৬০ হাজারি যুবভারতী যেন গোটা ভারত। বেঙ্গালুরু, দিল্লি, কেরল, তামিলনাড়ু থেকে এসেছেন ভক্তরা। সুনীলকে (Sunil Chhetri) নিয়ে অভিনব টিফো, ব্যানার, কাট আউট। আইএফএ-র উদ্যোগে সুনীল-মুখোশ পরে গ্যালারিতে সমর্থকরা, অনেকের হাতেই জাতীয় পতাকা। মুখে অধিনায়কের নামে জয়ধ্বনি। গ্যালারিতে প্রাক্তন সতীর্থরা। ফেডারেশনের বড় কর্তারা সবাই হাজির সুনীল-বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে। কিন্তু শেষটা ভাল হল না। বিষাদের মধ্যেই সুনীলের স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্য বললেন, “না চাইলেও এই দিনটা দেখতে হল। তবে আমি চাই, ছেলে ধ্রুবর বাবা হিসেবে সুনীল বেশি সময় দিক পরিবারকে।”
কুয়েতের সঙ্গে ড্র করায় বিশ্বকাপের তৃতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশা ক্ষীণ। রীতিমতো নাম ধরে কোচ ইগর স্টিমাচ ব্যর্থতার দায় চাপালেন ফুটবলারদের উপর।
আরও পড়ুন-সুনীলকে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর, বাংলার ফুটবলের জন্য তোমাকে চাই