রাঁচি: উইকেট নিয়ে ধন্দে দুটো দলই। কিন্তু ইংল্যান্ড (India vs England) যেভাবে তাড়াহুড়ো করে রেহান আমেদের বদলে শোয়েব বশিরকে দলে নিয়ে এল, তাতে গন্ধটা বেশ সন্দেহজনক লাগছে। ধোনির শহরে বল কোনওদিন একহাত ঘোরেনি। ইতিহাস তাই বলছে। তাহলে স্পিন ছাড়া স্টোকস, পোপদের মুখে আর কথা নেই কেন।
ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট স্টেডিয়াম রাঁচি শহর থেকে ১২-১৪ কিলোমিটার দূরে। জায়গাটার নাম ধোরুয়া। যেতে যেতে প্রচুর গাছ-গাছালি চোখে পড়বে। কাছেই দেউড়ি মন্দির। ধোনি কোনও সফরে যাওয়ার আগে এখানে পুজো চড়িয়ে যেতেন। হয়তো এখনও আইপিএলে নামার আগে সেটা করেন। কিন্তু ধোনি এমন লোক, কাউকে কিছু বুঝতে দেন না। ফলে কারও কাছে এই খবর নেই যে, নিজের শহরে কিছুক্ষণের জন্য হলেও খেলা দেখতে আসবেন কি না। তবে খবর রয়েছে তিনি সিএসকের প্র্যাকটিসে ব্যস্ত।
এই টেস্ট এমনিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। ভারত জিতলে সিরিজ রোহিতদের পকেটে চলে আসবে। ইংল্যান্ড (India vs England) জিতলে তারা সমতায় ফিরবে। সেক্ষেত্রে ধরমশালায় শেষ টেস্ট ভীষণ টানটান জায়গায় থাকবে। আর এই আবহে স্টোকসরা নানারকম অঙ্ক কষছেন। বশিরের হাইট ভাল বলে বল ছাড়ার সময় হাত অনেক উঁচুতে থাকে। যেটাকে রিলিজিং পয়েন্ট বলা হয়। রেহান ছোটখাটো চেহারার। ফলে উইকেট থেকে বশিরের মতো কামড় পাবেন না। বাউন্সও নয়। বশিরের মতোই মার্ক উডের বদলে দলে আনা হয়েছে সিমার অলি রবিনসনকে। সাংবাদিকদের সামনে যাঁর সম্পর্কে অনেক ভাল কথা বললেন স্টোকস। রবিনসনের সঙ্গী জিমি অ্যান্ডারসন।
আরও পড়ুন-কাল শীর্ষে ওঠার লড়াই মোহনবাগানের
রোহিতরা এখানে বুমরাকে বিশ্রাম দিয়েছেন। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখনকার উইকেট শেষমেশ কোনদিকে যাবে কেউ জানে না। স্টোকস পর্যন্ত দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে গেলেন। তিনি জানেন না। কিন্তু যদি বল বেশি সিম করে তাহলে বুমরার অভাব টের পেতে হবে রোহিতদের। তখন সিরাজের সঙ্গে বুমরাকে দরকার হবে। আকাশ বা মুকেশ যিনিই খেলুন, তিনি হয়তো বুমরার মতো চাপ তৈরি করতে পারবেন না।
স্টোকস এদিন বলছিলেন, তিনি উইকেট বুঝতে পারছেন না। এমন উইকেট আগে দেখেনওনি। পরে বিক্রম রাঠোর এসে পাল্টা দেন, ভারতে উইকেট সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। তাঁর মতে, এই উইকেট একেবারে টিপিক্যাল ভারতীয় উইকেট। পরেরদিকে বল ঘুরবে। তবে যাই পরিস্থিতি হোক না কেন, সেই পরিমাণ রসদ তাঁদের দলে আছে। তাই তাঁরা প্রস্তুত থাকছেন।
ভারতীয় ব্যাটিং কোচ এদিন রজত পাতিদারের পাশে দাঁড়ালে কী হবে বাস্তব চিত্র এটাই যে, তিনি চারটি ইনিংসের মধ্যে তিনটিতে দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। অথচ সরফরাজ, জুরেলের মতো নতুনরা প্রথম আবির্ভাবেই নজর কেড়েছেন। রাঠোর অবশ্য পাতিদারের পাশেই থাকলেন। কিন্তু রাহুল থাকলে পাতিদারকে যে বসতে হত সেটা জলের মতো পরিষ্কার। রাহুলের ব্যাপারটা মেডিক্যাল টিমের উপর ছেড়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটিং কোচ। বললেন, ওর চোট কতটা সেরেছে সেই ব্যাপারটা আমি ঠিক জানি না। ওরা বলতে পারবে।
রাঁচিতে ফেব্রুয়ারি মাসে সকাল ও রাতে মোটামুটি ঠান্ডা থাকে। সকালের দিকে ঠান্ডায় সিমাররা সুবিধা পায়। সেটা মাথায় রেখে ইংল্যান্ড রবিনসনকে নিয়েছে। ভারতের ব্যাপারটা এখনও পরিষ্কার নয়। মুকেশ এর আগে তিনটি টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। আকাশ সম্প্রতি এ দলের ক্রিকেটে অনেক উইকেট পেয়েছেন। ফর্মে আছেন। তাই তাঁর নামটাই সামনে রয়েছে। বাকিটা দ্রাবিড়-রোহিতের হাতে।