দুবাই, ৬ মার্চ : দুবাইয়ে ভারতের (India) সব ম্যাচ খেলার সুবিধা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও ফাইনালে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের কাজটা সহজ হবে না। আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের সামনে যে বরাবরের পথের কাঁটা সেই নিউজিল্যান্ড। ২৫ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ২০০০ সালে নাইরোবিতে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয়বার তারা যে আইসিসি ট্রফি জিতেছে সেটা চার বছর আগে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে। সেখানেও ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কেন উইলিয়ামসনের দল। তার আগে ম্যাঞ্চেস্টারে ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল হারের দুঃস্বপ্ন এখনও টাটকা ভারতীয়দের স্মৃতিতে। তবে এবার কিউয়িদের তৃতীয় আইসিসি ট্রফি জয় আটকাতে টিম ইন্ডিয়ার দুরন্ত ফর্মই বড় ভরসা।
নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে রোহিতদের চিন্তার অবশ্য অনেক কারণ রয়েছে। দুবাইয়ের পিচে গ্রুপ পর্বে উইলিয়ামসনরা ইতিমধ্যেই একটি ম্যাচ খেলেছে। ম্যাচ হারলেও উইকেট, পরিবেশ নিয়ে ধারণা তৈরি হয়েছে। হার থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের (India) বিরুদ্ধে ফাইনালে নামতে চাইবে নিউজিল্যান্ড। যা খবর, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উইকেটেই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে স্পিনারদের একটা বড় ভূমিকা থাকবে। ভারত ও নিউজিল্যান্ড দু’দলেরই স্পিন অস্ত্রে খুব বেশি ফারাক থাকবে না। বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য থাকবেন কিউয়ি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, মাইকেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ফিলিপস এবং রাচিন রবীন্দ্র।
আরও পড়ুন-এবার অবসর মুশফিকুরের
কিউয়ি পেসারদের উচ্চতা এবং পাটা উইকেটেও বাউন্স আদায়ের ক্ষমতা ভারতীয় ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলার জন্য যথেষ্ট। ম্যাট হেনরি সাম্প্রতিককালে ভারতের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সফল। গ্রুপ ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়েছেন। সেমিফাইনালে চোট পেয়েছেন হেনরি। ফাইনালে খেলতে না পারলে ভারতের জন্য বড় অ্যাডভান্টেজ হতে পারে। কিউয়ি ব্যাটিংয়েও গভীরতা রয়েছে। রাচিন রবীন্দ্র স্বপ্নের ফর্মে। উইলিয়ামসন, গ্লেন ফিলিপস, ডারিল মিচেলরা ব্যাট হাতে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। আর অবশ্যই নিউজিল্যান্ডের অবিশ্বাস্য ফিল্ডিং। আগের ম্যাচেই ফিলিপসের বিস্ময় ক্যাচে ফিরতে হয়েছিল বিরাটকে। মেগা ফাইনালে ‘কিউয়ি ফ্যাক্টর’ উড়িয়ে বাজিমাত করতে হলে চাপ সামলে সেরা ম্যাচই খেলতে হবে মেন ইন ব্লুকে।