লড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিতছে ভারত

Must read

নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর : আর ৫৮ রান করলেই সিরিজ ২-০-তে জিতবে ভারত (India vs West Indies)। এই ক’টা রানের জন্য গোটা দিন পড়ে। হাতে ৯ উইকেট। যশস্বী ৮ রানে ফিরে গিয়েছেন। রাহুল ২৫ ও সুদর্শন ৩০ রানে ব্যাট করছেন। খুব বড় অঘটন ছাড়া প্রথম সেশনেই ম্যাচ শুভমনদের হাতে চলে আসা উচিত।
কিন্তু দিল্লির অপেক্ষমাণ হার বা দুই টেস্টের সিরিজে দুটিতেই পরাজয় রস্টন চেজের দলকে মোটেই খাটো করছে না। আর সেটা কোটলায় তাঁদের গত দু’দিনের লড়াইয়ের জন্য। ক্যারিবিয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটাররা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটা অসাধারণ। শুধু শেষ উইকেটেই ৭৯ রান জুড়েছেন টেলএন্ডাররা। জেডন সিলস করেন ৩২ রান। ফিলিপ (২) যখন আউট হয়েছিলেন তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৩১১। তারপর এই পার্টনারশিপ। গ্রিভস নট আউট থাকলেন ৫০ রানে। এই জুটিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল ৩৯০ রানে। ১২১ রানের লিড নিতে পেরেছিলেন চেজরা।

চতুর্থ দিন সকালে শুভমনরা একটাই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। যত তাডাতাড়ি সম্ভব দুই নট আউট ব্যাটার ক্যাম্পবেল ও হোপকে ফেরাতে হবে। কিন্তু হল উল্টো। দু’জনেই সেঞ্চুরি করে বেরিয়ে গেলেন। ওপেনার ক্যাম্পবেল জাদেজার বলে লেগ বিফোর হওয়ার আগে ১১৫ রান করে যান। হোপকে সিরাজ বোল্ড করেছেন ১০৩ রানে। দু’জনের পার্টনারশিপে উঠেছে ১৭৭ রান। এই দুই ব্যাটারের সামনে ভারতীয় বোলিংকে একসময় হতাশ ও অসহায় লেগেছে। আমেদাবাদে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই ভারতীয় বোলারদের সামনে নাজেহাল হওয়া ব্যাটিংয়ের এটা মধুর প্রত্যাবর্তন। নাকি বিপক্ষের আত্মতুষ্টির ফল!

আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে রো-কো? নিশ্চিত নন শাস্ত্রী

দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরা ৪৪ রানে ৩, কুলদীপ ১০৪ রানে ৩, জাদেজা ১০২ রানে ১, সিরাজ ৪৪ রানে ১ ও ওয়াশিংটন সুন্দর ৮০ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে বুমরা ও সিরাজ ছাড়া ভারতীয় (India vs West Indies) বোলারদের কাউকে রেয়াত করেননি ক্যাম্পবেল ও হোপ। শেষবার ২০০২-এ ভারতের বিরুদ্ধে ওপেনার হাইন্ডস সেঞ্চুরি করেছিলেন। ২৩ বছর পর ভারতের মাটিতে প্রথম কোনও ক্যারিবিয়ান ওপেনার হিসাবে সেঞ্চুরি পেলেন ক্যাম্পবেল। শেষপর্যন্ত জাদেজাকে রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে নিজের উইকেট দিয়ে গিয়েছেন।
কুলদীপ প্রথম ১৫ ওভারে কোনও উইকেট পাননি। কিন্তু এরপর দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ান ইনিংসে চাপ ফিরিয়ে এনেছিলেন। তাঁকে খেলা মুশকিল হয়েছে এই সিরিজে। কুলদীপকে এরপর সব টেস্টে খেলানো উচিত বলে দাবি করেছেন অনিল কুম্বলে। তবে ক্যাম্পবেল আর হোপের উইকেট তুলে নেওয়ার পরও ক্যারিবিয়ান লড়াই জারি ছিল গ্রিভস (৫০ নট আউট) ও সিলসের ব্যাটে। শেষপর্যন্ত বুমরা গ্রিভসের উইকেট নেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩৯০ রানে। তাদের লিড ছিল ১২১ রানের। বড় কিছু নয়। কিন্তু এই ফাইটব্যাক চেজদের মনোবল বাড়িয়েছে।
সিরাজ এদিন ২ উইকেট নিয়ে ২০২৫-এর টেস্ট ক্রিকেটে সবথেকে বেশি উইকেট নিলেন। কিন্তু ভারতীয় বোলিং ও অধিনায়ক শুভমনের কয়েকটি সিদ্ধান্ত সমালোচনার মুখে পড়েছে। কেন তিনি ৫১৮-৫ তুলেই ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন সেই প্রশ্ন উঠছে। ক্যারিবিয়ানদের ফলো অন না করিয়ে ব্যাট করলে উইকেট আরও খারাপ হত বলে মত অনেকের। তাতে স্পিনারদের সুবিধা হত। ম্যাচে চালকের আসনে থেকেও অধিনায়ক কেন এত দূরে ফিল্ডিং সাজিয়ে রাখলেন সেটাও প্রশ্ন। কুলদীপই এদিন একমাত্র বোলার ছিলেন যিনি হাওয়ায় বল রেখে উইকেট নেওয়ার ঝুঁকি নিয়েছেন। ২৯ ওভার কেন, তাঁকে আরও বেশি বল করানো যেত।

Latest article