দুবাই, ৩৬ সেপ্টেম্বর : কাকতালীয়ই হবে হয়তো। শনিবারই প্রথম ঠাসাঠাসি ভিড় হল দুবাই স্টেডিয়ামে, আর এদিনই টুর্নামেন্টের সবথেকে জমজমাট ম্যাচের নিষ্পত্তি হল সুপার ওভারে। ভারত জিতল ফাইনালের আগে শেষ ম্যাচে। তবে চারশো প্লাস ম্যাচে পয়সা উসুল হল দর্শকদের।
কুশল মেন্ডিস (০) যখন হার্দিককে উইকেট দিয়ে যান, বোর্ডে ৭। সহজ একটা ম্যাচ হবে বলে যাঁরা ধরে নিয়েছিলেন, অতঃপর তাঁদের জন্য মস্ত ধোঁকা পাথুম নিশঙ্কা (১০৭) আর কুশল পেরেরার (৫৮)। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে ১৩৪ রান তুলে ফেলার পর মনে হচ্ছিল টাইম মেশিনে চড়ে ওরা কয়েক দশক পিছিয়ে গিয়েছেন। যখন এভাবেই ঝড় তুলতেন জয়সূর্য-কালুবিথারানা।
কুশল ফিরে যাওয়ার পরও লড়াই ছিল নিশঙ্কার জন্য। ছক্কায় সেঞ্চুরি। ৫২ বলে। টি-২০ ক্রিকেটে ১৮টা হাফ সেঞ্চুরি আছে নিশঙ্কার। কিন্তু আসালাঙ্কা, শনাকা বা মেন্ডিস তাঁকে সাহায্য করতে পারেননি। ফলে ২০ ওভারে ভারতের মতোই ২০২/৫ করেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কা তোলে ৫ বলে ২/২। আর সূর্য প্রথম বলেই ৩ রান নিয়ে জয় তুলে আনেন।
আরও পড়ুন-দিদির শুভেচ্ছা-উপহার ভিন রাজ্যের পুজোতেও
সূর্য টসে হেরে বললেন, আমরা জিতলে ব্যাটিংই নিতাম। অর্থাৎ ফাইনালের আগে ব্যটারদের যত বেশি ব্যাট করিয়ে নাও। তবে শুভমনের জন্য আর একটা খারাপ ম্যাচ গেল। থিকসানার বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে চলে গেলেন। ৪ রান করেছেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক। এশিয়া কাপে রান তাঁর ব্যাট থেকে আসেনি।
প্রত্যাশিতভাবেই বুমরাকে বিশ্রাম দিল ভারত। রবিবার ফাইনাল খেলার চার দিনের মধ্যে আবার আমেদাবাদে নামবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে। তাই ফেরানো হল অর্শদীপ সিংকে। শিবম দুবেও বসলেন। এলেন হর্ষিত রানা। দেন ৫৪ রান। তবে ফাইনালে নিশ্চয়ই গম্ভীর হয়তো তাঁর প্রথম এগারোকেই ফিরিয়ে আনবেন। সেটাই স্বস্তি!
খারাপ সময় যাচ্ছে অধিনায়ক সূর্যরও। ওয়েনিন্দু রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি সূর্যর। উল্টোদিকে অভিষেক শর্মা যখন আরও একটা মারকাটারি ইনিংস খেলছেন তখন সূর্য ১২ রান করতে ১৩ বল লাগিয়ে দিলেন। দুবাইয়ের স্লো এবং স্পিনার ফ্রেন্ডলি উইকেটে সূর্য যেভাবে খেলেন তাতে একটু সমস্যা হবেই। এমন উইকেটে বলের উপরে যাওয়াটা জরুরি। তিনি অফ দ্য পিচ বেশি খেলে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শ্রীলঙ্কার জন্য শনিবারের ম্যাচের কোনও গুরুত্ব ছিল না। কিন্তু টসের সময় অধিনায়ক আসালাঙ্কার কথা শুনে মনে হচ্ছিল তাঁরা আর একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসাবে নিচ্ছেন। পরে যখন পাথুম নিশঙ্কা ইনিংস শুরু করে ঝড় তুলেছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল সিংহলিরা হাল ছাড়বে না। তার আগে ভারতের ইনিংস যে ২০ ওভারে ২০২/৫ অবধি গেল সেটা অভিষেকের ৩১ বলে ৬১-র জন্য। তিনি ছাড়া রান পেলেন তিলক ভার্মা (৪৯ নট আউট) ও সঞ্জু স্যামসন (৩৯)।