তিরুবনন্তপূরম, ২৬ ডিসেম্বর : দলের দুই সেরা ব্যাটার রান পেলেন না। স্মৃতি মান্ধানা ১ ও জেমাইমা রডরিগেজ ৯ রানে আউট হয়ে গেলেন। কিন্তু তাতেও বক্সিং ডে ম্যাচে হরমনপ্রীত কৌরদের সান্তার উপহার পাওয়া আটকাল না। তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই টি-২০ সিরিজ দখলে নিলেন তাঁরা (India Women)।
এই জয়ে দু’জনের বড় অবদান থাকল। বল হাতে রেণুকা সিং ঠাকুর শুধু ৪ উইকেট নেননি, আগাগোড়া চাপে রাখেন সিংহলীদের। পরে ব্যাট হাতে উড়িয়ে খেলে প্রায় একাই ম্যাচ বের করে দেন ওপেনার শেফালি ভার্মা। যাঁকে বিশ্বকাপে প্রথমে দলে রাখা হয়নি। পরে দলে এসে ভুল প্রমাণ করেছিলেন শেফালি। এদিনও শুরু থেকে অসাধারণ খেলে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানে নট আউট থেকে গেলেন শেফালি। ১১টি চার ও তিনটি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে ২১ রানে নট আউট থাকলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীতও।
আরও পড়ুন-মানবে না হার, মা-মাটি-মানুষের সরকার আবার
সিরিজে এগিয়ে থেকে শুক্রবার তিরুবনন্তপূরমের গ্রিনফিল্ড স্টেডিয়ামে নেমেছিল ভারত (India Women)। টসে জিতে হরমনপ্রীত আগে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে দেন। রান তাড়া করার ক্ষেত্রে তাঁর দল গত কয়েকটি ম্যাচে যথেষ্ট মুনশিয়ানা দেখিয়েছে। সুতরাং পরে ব্যাট করতে চাইলে ভুলের কিছু নেই।
শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভাল হয়নি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ফিরে যান ৩ রান করে। দলের রান তখন ২৫। আতাপাত্তু শ্রীলঙ্কার মেয়েদের দলের ব্যাটিং স্তম্ভ। কিন্তু এই সিরিজে রান পাচ্ছেন না। ওপেনার হাসিনি পেরেরা করেছেন ২৫ রান। এছাড়া হৃষিতা সমরবিক্রমা ২, নিলাশিকা পেরেরা ৪, কবিশা দিলহারি ২০ ও ইমেশা দুলানি ২৭ রান করেন।
বোলারদের মধ্যে রেণুকা সিং ঠাকুর যথারীতি শুরুর ধাক্কা দিয়েছেন। তিনি ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ১৮ রানে ৩ উইকেট দীপ্তি শর্মার। শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১২/৭ তুলতে পেরেছিল। এই জয়ের ফলে টি-২০ ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সব থেকে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড করলেন হরমনপ্রীত।

