তৃতীয় বারের জন্য মহাকাশে পাড়ি দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams)। নানা বাধা বিপত্তি কাটিয়ে যাত্রা করলেন তিনি। প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরে শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গিয়েছিল অভিযান। অবশেষে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস স্টেশন থেকে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্সের অ্যাটলাস–ফাইভ রকেটের মাধ্যমে অভিযানের যাত্রা শুরু হয়েছে। এবারও মহাকাশ অভিযানে সুনীতা সঙ্গে রেখেছেন গীতা এবং একটি গণেশ মূর্তি। তাঁর কাছে গণেশ ‘লাকি চার্ম”।
সহকর্মী বুচ উইলমোর–এর সঙ্গে এই অভিযানে গেলেন উইলিয়ামস (Sunita Williams)। আগামী এক সপ্তাহ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেই থাকবেন সুনীতা। অ্যাটলাস ৫ রকেটে চেপে মহাকাশে রওনা দিয়েছেন তাঁরা, সেটির নকশা তৈরিতেও সুনীতার ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন- মণিপুরের নির্বাচনে নারী নির্যাতনের জবাব! বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান উত্তর-পূর্বের
গত ৭ মে সূচনার দিন নির্দিষ্ট থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে তাঁরা বুধবার যাত্রা করেন। উইলিয়ামস–উইলমোর জুটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এক সপ্তাহ থাকার পর পুনর্ব্যবহারযোগ্য ক্যাপসুলের মাধ্যমে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। এর আগে, ৩২২ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস। একসময় সর্বোচ্চ স্পেসওয়াকের রেকর্ডও হিল তাঁর দখলে। এবারের অভিযানে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের হারমোনি মডিউলে গিয়ে জুড়বে সিএসটি-২০০ বোয়িং স্টারলাইনার স্পেস ক্যাপসুলটি। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা চালানোর কথা সুনীতাদের।
নাসা জানিয়েছে, স্টারলাইনার সঠিক কক্ষপথের হদিশ পেয়ে গিয়েছে। একদিন পর আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে রকেট নোঙর করনে সুনীতা এবং উইলমোর। এই মুহূর্তে ওই কক্ষপথে মহাকাশচারী সম্বলিত আমেরিকার ৩টি মহাকাশযান অবস্থান করছে- বোয়িং স্টারলাইনার, ইলন মাস্কের স্পেস এক্স সংস্থার ক্রিউ ড্র্যাগন এবং আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন।