সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : ছেলেবেলায় অনেকেরই মনে কুসংস্কার থাকে সকালে উঠে এক শালিক (Indian myna) দেখলে নাকি সারাদিন খারাপ যায়! এমনটা কিন্তু ঘটে না কাঁকসার মলানদিঘি গ্রামের ছোট্ট শিশু অঙ্কিতা বাগদির (Ankita Bagdi) ক্ষেত্রে। প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণির পড়ুয়া সে। তার সঙ্গে একটি বুনো শালিকের (Indian myna) ভীষণ ভাব হয়ে গিয়েছে। আদর করে পাখিটির নাম দিয়েছে সে ‘মিঠু’। সেই পাখি প্রতিদিন নিয়ম করে অঙ্কিতার স্কুলে চলে আসে, তার মাথায় বসে, হাত থেকে বিস্কুট, মুড়ি ইত্যাদি খেয়ে তার দিন কাটে। অঙ্কিতার বন্ধুরাও মিঠুকে আদর করে খেতে দেয়। অঙ্কিতা (Ankita Bagdi) ক্লাসে এলে মিঠুও তার সঙ্গে বসে একমনে পড়া শোনে। এতে মজা পান স্কুলের শিক্ষকরাও। তাঁরাও মিঠুর প্রেমে পাগল। যেদিন অঙ্কিতার স্কুল ছুটি থাকে, সেদিন মিঠু সটান হাজির হয়ে যায় তাদের বাড়ি। সারাদিন তার সঙ্গে খেলাধুলো করে বিকেল হলেই সে ফিরে যায় গাছের ডালের ছোট্ট বাসায়। অঙ্কিতা-মিঠুর এই ভালবাসার বন্ধন দেখে অনেকেই স্মরণ করেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ‘রামের সুমতি’ গল্পের রামের সঙ্গে পুকুরের কার্তিক-গণেশ নামে দুটি মাছের স্বর্গীয় সখ্যের আদি ও অকৃত্রিম ভালবাসার কথা। অঙ্কিতা-মিঠুর প্রগাঢ় বন্ধুত্বও সেইভাবেই একদিন হয়ে উঠতে পারে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া কিংবদন্তির মতো আকর্ষণীয় গল্পকথা। এলাকার মানুষের এমনটাই ধারণা এই ঘটনা সম্পর্কে।
আরও পড়ুন: আস্থা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট