কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন ভারতীয় বংশদ্ভুত চন্দ্র আর্যের

পাত্তাই দিলেন না খালিস্তানিদের হুমকিকে। শনিবার কানাডার পার্লামেন্টে কন্নড় ভাষায় জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে মনোনয়ন পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী পদে।

Must read

প্রতিবেদন: পাত্তাই দিলেন না খালিস্তানিদের হুমকিকে। শনিবার কানাডার পার্লামেন্টে কন্নড় ভাষায় জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়ে মনোনয়ন পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী পদে। এক্স পোস্টে লিখলেন, আমরা জাতিগতভাবে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। প্রয়োজন কঠিন পদক্ষেপের। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের সমৃদ্ধি সুরক্ষিত করতে অবশ্যই সাহসী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই মুহূর্তে কানাডায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু চন্দ্র আর্য। পার্লামেন্টের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য। খালিস্তানি ইস্যুতে সরকার এবং দলে জাস্টিন ট্রুডোকে একেবারে কোণঠাসা করে ফেলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন-নবান্নের হস্তক্ষেপ, বিধায়কের উদ্যোগে ২ কোটিতে সিংহদুয়ার সংস্কার

এবার ট্রুডোর উত্তরাধিকারী হওয়ার লড়াইয়ে নেমে পড়লেন লিবারেল পার্টিতেই তাঁর তীব্র বিরোধী হিসেবে পরিচিত আর্য। খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে নরম মনোভাব দেখানোর অভিযোগ বারবার উঠেছিল ট্রুডোর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ভারতের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল কানাডার। কিন্তু রুখে দাঁড়িয়েছিলেন আর্য। তাঁর বিরোধিতার চাপ সামলাতে না পেরেই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রুডো। পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে লিবারেল পার্টির দলনেতার পদ ছাড়ার কথাও জানিয়ে দেন তিনি। গ্রেটার টরন্টো, ব্রিটিশ কলম্বিয়া-সহ কানাডার বিভিন্ন অঞ্চলের হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানি হামলার প্রতিবাদে চন্দ্র আর্য সরব হয়েছিলেন কানাডা পার্লামেন্টে। এর পরিণতিতে খালিস্তানি নেতা পুন্নুনের হুমকিও শুনতে হয়েছিল আর্যকে। কিন্তু পরোয়া করেননি তিনি। চন্দ্রের জন্ম কর্নাটকের টুমকুরে। এমবিএ পাশ করে চাকরিজীবনের প্রথমটা কেটেছে ভারতেই। ২০০৬ থেকে পাকাপাকি বসবাস কানাডায়। এবার তিনি কানাডায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।

Latest article