কলম্বো, ২৩ নভেম্বর : চলতি মাসের শুরুতেই মেয়েদের ক্রিকেটে (India’s blind women cricketers) প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানাদের বিশ্বজয়ের ২১ দিন পর দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেটেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হল ‘উইমেন ইন ব্লু’। এবারই প্রথম দৃষ্টিহীন মহিলাদের টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হয়। রবিবার কলম্বোয় ফাইনালে নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বসেরার খেতাব জিতে নেয় ভারতের মেয়েরা। অধিনায়ক দীপিকা টিসির হাতে ওঠে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। মাঠেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসেন ক্রিকেটাররা।
খেতাবি লড়াইয়ে এদিন টসে জিতে নেপালকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় তারা। ভারতীয় বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সামনে নেপাল ৫ উইকেটে ১১৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। তাদের ইনিংসে ছিল কেবল একটি বাউন্ডারি। জবাবে মাত্র ১২.১ ওভারেই রান তুলে শিরোপা জিতে নেয় ভারত। ফুলা সারেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মাত্র ২৭ বলে। কে করুণা করেন ৪২ রান। গোটা প্রতিযোগিতায় ভাল খেলেন বাসন্তী হাঁসদা, দীপিকারা। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত (India’s blind women cricketers)। ফাইনালেও একপেশে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা। কর্নাটকের মেয়ে দীপিকা গোটা টুর্নামেন্টে দলকে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশ্বসেরার তাজ মাথায় পরে ভারত অধিনায়ক বলেন, আমরা স্নায়ুর চাপে ভুগিনি। কারণ, নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল। আমরা শুধু ব্যাটার, বোলার বা ফিল্ডারদের দল নয়। আমাদের দলে সবাই অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন-নির্মম! মোদিরাজ্যে স্কুলের ভেতরে অজ্ঞান করার ইঞ্জেকশন দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ফুলা সারেন ওড়িশার বালাসোরের মেয়ে। জেমাইমা রডরিগেজের ভক্ত ফুলা বিশ্বকাপ জিতে উচ্ছ্বসিত। বলছেন, শুধু দেশের হয়ে নয়, আমার জেলা বালাসোরেরও প্রতিনিধিত্ব করেছি বিশ্বকাপে। চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে আমি গর্বিত। কয়েক বছর আগে বিশ্বকাপ জিতেছিল ছেলেরাও। মেয়েদের সাফল্যের পর দেশে দৃষ্টিহীনদের ক্রিকেটের বিস্তার ও জনপ্রিয়তার আশায় ফুলা সারেনরা।

