প্রতিবেদন : আত্মপ্রশংসা আর আত্মপ্রচার প্রিয় বিষয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেই প্রবণতার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল ‘নমো’ (Namo Bharat) নামে ট্রেন উদ্বোধনে। এই নামেই প্রধানমন্ত্রীর ভজনা করে থাকেন তাঁর স্তাবকরা। লোকসভা ভোটের আগে সেই নামকে সামনে রেখেই ট্রেন উদ্বোধন করলেন মোদি। শুক্রবার দিল্লি থেকে মিরাট পর্যন্ত দেশের প্রথম সেমি হাইস্পিড রিজিওনাল রেল বা র্যাপিডএক্স পরিষেবার সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই ট্রেনের নাম ‘নমো’। এমন নির্লজ্জ আত্মপ্রচার নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগে পদ্মফুলের নতুন প্রজাতিও প্রধানমন্ত্রীর নাম এবং পদবির আদ্যক্ষর জুড়ে রাখা হয়েছে ‘নমো ১০৮’। এ-ছাড়া আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম বদলে করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল নিজের নামে ট্রেন। বন্দে ভারতের সঙ্গে নাম মিলিয়েই এই ট্রেনটির নাম রাখা হয়েছে নমো ভারত। জানা গিয়েছে, এই ট্রেন চলবে ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার বেগে। উত্তরপ্রদেশের সাহিদাবাদ থেকে দুহাই ডিপো, ৫টি স্টেশনে থামবে এই ট্রেন। কিন্তু ট্রেনের নাম ‘নমো ভারত’ (Namo Bharat) রাখা নিয়ে বিতর্ক চরমে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হারার ভয়ে মরিয়া প্রধানমন্ত্রীর এই নির্লজ্জ আত্মপ্রচার বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষও প্রধানমন্ত্রীকে এই ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, সরকারি পয়সায় কেন্দ্রীয় সরকার এইরকম দৃষ্টিকটু ব্যক্তিপ্রচার চালাচ্ছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও। হাত শিবিরের নেতা পবন খেরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ভারত নামটাই বা আর রাখার দরকার কোথায়? এবার দেশের নামটা বদলে নমো করে দেওয়া হোক। তাহলেই ষোলোকলা পূর্ণ হয়ে যাবে!’ মোদিকে কটাক্ষ করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ জয়রাম রমেশ। তিনি বলেন, নমো পদ্মফুল, নমো স্টেডিয়ামের পর এবার নমো ট্রেন! সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর আত্মপ্রচারের কোনও সীমা-পরিসীমা নেই!
আরও পড়ুন-বিশেষ ড্রাগের অপব্যবহারে মনস্তাত্ত্বিক কৌশল হামাসের