প্রতিবেদন: ভারতের বিদেশনীতি কী হবে তা নিয়ে এবার নাক গলানো শুরু করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কেন আওয়ামি লিগের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ছাত্রনেতা থেকে সরকারের মন্ত্রী হয়ে যাওয়া নাহিদ ইসলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কোন খাতে বইবে, তা নিয়ে দোলাচল আছে পদ্মার দুই পারেই৷ এই আবহেই নতুন জল্পনা উসকে দিয়েছেন বাংলাদেশের সদ্যগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম৷ ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন ভারত সরকারের বিদেশনীতি নিয়ে৷
আরও পড়ুন-আরজি কর-কাণ্ড : ফেসবুক পোস্টে আশ্বাস কলকাতা পুলিশের
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাহিদ বলেন, আমাদের দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করেছিল ভারত৷ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক নেই৷ আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চাই৷ কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রধান শর্ত হল, ভারতকে তাদের বিদেশনীতি পর্যালোচনা করতে হবে৷ তা না হলে বিষয়টি গোটা দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে উঠবে৷ বাংলাদেশের কোটা-বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী, ২৬ বছর বয়সী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের এই মনোভাব দিল্লিকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়া পর্যালোচনায় বাধ্য করবে, এমনটাই মনে করছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ যেভাবে সরাসরি মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন নাহিদ তা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মনোভাব কি না, সেটাও খতিয়ে দেখবে দিল্লি, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের৷ নাহিদের সুরেই ভারত সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির প্রাক্তন এক মন্ত্রীও৷ তাঁর যুক্তি, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখবে দিল্লি, আবার শেখ হাসিনাকেও সাহায্য করবে ভারত, এটা হতে পারে না৷ হাসিনাকে লাগাতার সাহায্য করে গেলে ভারত সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় থাকা কঠিন৷
গোটা বিষয়টি সম্পর্কে সরকারি স্তরে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে নারাজ দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকে কর্মরত উচ্চপদস্থ আমলারা৷ বাংলাদেশের পুরো বিষয়টিকেই এখন ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ নীতিতে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে,’ সোমবার দাবি জানানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে৷