চাপে কেন্দ্র, ওয়াকফ আইন স্থগিতের ইঙ্গিত

Must read

প্রতিবেদন : ওয়াকফ (Waqf) সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত কোনও সম্পত্তি বাতিলের নির্দেশ দিতে পারবে না কেন্দ্র। মত দিল শীর্ষ আদালত। কড়া মতামতে চাপে কেন্দ্র। শুধু তা-ই নয় ওয়াকফ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০২৫-এর যে ধারা বলে কোনও সরকারি জমি বলে কোনও ওয়াকফ সম্পত্তিতে কালেক্টর তদন্তকরাকালীন সেটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে গণ্য করা হবে না। সেটি আপাতত স্থগিত থাকবে। এই মতামতে আগামী দিনে আইন স্থগিতের ইঙ্গিত স্পষ্ট। সিঁদুরে মেঘ দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওয়াকফ (Waqf) বোর্ড এবং ওয়াকফ কাউন্সিলের সদস্যদের অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। শুধুমাত্র যাঁরা পদাধিকার বলে ওয়াকফে যোগ দেবেন বা অন্তর্ভুক্ত হবেন, তাঁরা ভিনধর্মের হতে পারেন। বুধবার এই তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখল শীর্ষ আদালত। মতবিনিময় এবং আলোচনাও হল। তবে এই নিয়ে শেষপর্যন্ত অবশ্য কোনও অন্তর্বর্তী আদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এ ছাড়াও আরও দুটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা হয় শীর্ষ আদালতে। খতিয়ে দেখা হয় সম্ভাবনা। প্রথমত, আদালত যে সম্পত্তিকে ওয়াকফ বলে ঘোষণা করবে, তাকে ‘ওয়াকফ নয়’ বলে ধরা যাবে না। দ্বিতীয়ত, কোনও ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ থাকলে, সেই সম্পত্তি নিয়ে জেলাশাসক প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চালাতে পারবেন। কিন্তু সেই বিধান বা সিদ্ধান্ত কার্যকর করা চলবে না। এই দুটি বিষয়ও এদিন শীর্ষ আদালতে গভীর আলোচনা পর্যায়েই রাখা হয়। দেওয়া হয়নি কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ। আবার শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। ওয়াকফ আইন সংশোধনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তির ঘটনা নিয়েও গভীর উদ্বেগপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
লক্ষণীয়, নরেন্দ্র মোদির সরকারের সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে ৭৩টি আবেদন একত্রিত করে এদিন শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে। ৩ বিচারপতির এই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন।
ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। সমাজমাধ্যমে তিনি এদিন লিখেছেন, ধৈর্য ধরুন। জয় বা সুদিন আসছেই। তাঁর ব্যাখ্যা, মামলার শুনানি চলার সময়, আদালত ঘোষিত কোনও ওয়াকফকে ওয়াকফ নয় বলে বিজ্ঞাপিত করা যাবে না। কালেক্টরের তদন্ত চলার সময় সেটিকে সেটিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে গণ্য করা হবে না বলে বলা হয়েছে। সেটি আপাতত স্থগিত থাকবে। শুধু তাই নয়, ওয়াকফ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের পদাধিকার বলে সদস্য ছাড়া অন্য সব সদস্যকে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। শীর্ষ আদালতের মতামতে আশার আলো দেখছেন মামলাকারীরা।

আরও পড়ুন- সোনার ঝাঁটা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী উপার্জন থেকে

Latest article