নয়াদিল্লি : ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমির ৩৭টি জেলাকে বায়ু দূষণের হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। যার মধ্যে দিল্লির ৯টি জেলা ছাড়াও রয়েছে নয়ডা, গুরগাঁও, ফরিদাবাদ এবং গাজিয়াবাদ। জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এই জেলাগুলিকে বায়ুর মানের দিক থেকে সংবেদনশীল জেলা হিসাবে তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ওই সমস্ত জেলায় দূষণকারী উৎসগুলিকে চিহ্নিত করে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বায়ু দূষণের বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা পড়ে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে। তারপরই জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন-মশামারা ধূপের বিষাক্ত ধোঁয়া কাড়ল ৬ জনের প্রাণ
জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল তার সাম্প্রতিক নির্দেশে বলেছে, ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে উন্নত প্রযুক্তি এবং ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে। একটি যৌথ কমিটি এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। ওই কমিটিতে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্যরা এবং অধ্যাপক মুকেশ খারে এবং মুকেশ শর্মার মতো বিশেষজ্ঞরা। বায়ুতে পিএম ২.৫ ঘনত্বের স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে হটস্পটগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একটি ত্রিস্তরীয় পদ্ধতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার, দূষণ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ প্রযুক্তি গ্রহণ করা এবং দূষণ বৃদ্ধির ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
আরও পড়ুন-স্বল্প সঞ্চয়ে বাড়ছে সুদ
ওই রিপোর্ট আরও বলা হয়েছে, ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে কলকারখানাগুলি প্রধান পিএম ২.৫ নির্গমনকারী। এই অঞ্চলে বার্ষিক মোট পিএম ২.৫ নির্গমনের প্রায় ৪৮ শতাংশ আসে এইসব কলকারখানা থেকে। রাজ্যগুলির মধ্যে পিএম ২.৫ সবচেয়ে বেশি নির্গত হয় উত্তরপ্রদেশে। এছাড়াও বিহার, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবও রয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে প্রতি বছর মোট পিএম ২.৫ নির্গমনের ১৯ শতাংশ আসে কঠিন জ্বালানি এবং চুলার ব্যবহারের কারণে। এই অঞ্চলে বার্ষিক মোট পিএম ২.৫ নির্গমনের ১০ শতাংশ আসে মাটি এবং রাস্তার ধূলিকণা থেকে। খোলা জায়গায় আগুন জ্বালানোর ফলে ১৫.৫ শতাংশ এবং পরিবহণ ক্ষেত্র থেকে ৫ শতাংশ আসে।