প্রতিবেদন : সীমান্ত নিরাপত্তায় ব্যর্থ কেন্দ্রীয় সরকার ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বরং বলা ভাল বাংলাদেশে নৈরাজ্য শুরু হওয়ার পর থেকে এদেশে অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। প্রশ্ন উঠছে সীমান্ত রক্ষায় রয়েছে বিএসএফ তারপরও কীভাবে একের পর এক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়ছে। বিএসএফের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত ছাড়া কি এই অনুপ্রবেশ সম্ভব? আশ্চর্যজনকভাবে তাদের হাতে ধরা পড়ছে না অথচ বাংলার পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে অনুপ্রবেশকারীরা। কখনও আবার ত্রিপুরায় ধরা পড়ছে। কী করছে বিএসএফ? কী করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক? এর কোনও সদুত্তর নেই কেন্দ্রের কাছে।
আরও পড়ুন- জোর নিরাপত্তায়, এমএলএ হস্টেলে কড়া ব্যবস্থা রাজ্যের
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এবার কড়া নজরদারি বাড়াল রাজ্য প্রশাসন। শনিবার বাগদা থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে দুই বাংলাদেশি। পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়াতে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসাল ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। মুর্শিদাবাদেও তিন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। খোঁজা হচ্ছে সীমান্ত পার করা দালালদের। বনগাঁর ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উমা ঘোষ জানিয়েছেন, বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি। এই সময় সে-দেশ থেকে কোনও দুষ্কৃতী বা উগ্রপন্থী ভারতের প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজরদারি করতে এবং সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগে খুশি ছয়ঘরিয়া গ্রামবাসীবৃন্দ। তাঁদের কথায়, বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে উগ্রপন্থীদের ভারতের প্রবেশের আশঙ্কা বাড়ছে, এই সময় সীমান্ত এলাকায় বাড়তি নজরদারির বিশেষ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বেশ উদাসীন। দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত যে উদ্যোগ নিয়েছে সত্যিই এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।