মুম্বই: অনুপ্রবেশ নিয়ে বাংলার বিরুদ্ধে ক্রমাগত মিথ্যাচার চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্যস্ত বিজেপি। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর নিদান দিচ্ছেন মোদি। অথচ তাদের নিজেদের শাসিত রাজ্যেই শুধু অনুপ্রবেশ নয়, ধর্ষণ এবং নারীপাচারের মতো ন্যক্কারজনক কাজও অবাধে চালিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিরা। গেরুয়া রাজ্য মহারাষ্ট্রই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। বাংলাদেশ থেকে ২ নাবালিকাকে এদেশে পাচার করে তাদের ধর্ষণ করেছিল এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ২ নির্যাতিতাকে মুম্বইয়ের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধারও করেছিল পুলিশ। ২০১৭ সালের ঘটনা। সেই মামলাতেই ধর্ষণের দায়ে জসিম সবুর মোল্লা নামে ২৬ বছরের ওই বাংলাদেশি যুবককে ৮ বছরের সাজা দিয়েছে মহারাষ্ট্রের আদালত। শুধু জসিমই নয়, তার স্ত্রী মুর্শেদা এবং আত্মীয় জানাকেও অনুপ্রবেশ এবং অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অপরাধে এবং বিদেশি নাগরিক আইনে ৫ বছরের কারাবাসের আদেশ দিয়েছে আদালত। তাদের বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট ব্যবহারের অভিযোগেরও সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে আদালতে। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা তো দূরের কথা, বিজেপি-প্রশাসনের অপদার্থতার সুযোগে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে দাপটের সঙ্গে অসামাজিক এবং অপরাধমূলক কাজকর্ম করে চলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। নির্বিকার গেরুয়া সরকার।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
লক্ষণীয়, দিনকয়েক আগেই উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী রাজ্য ত্রিপুরাতেও ধরা পড়েছিল ৩ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল দালালচক্র এবং জাল আধারকার্ড চক্র। বেআব্রু হয়ে গিয়েছিল, কীভাবে মোটা টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার করিয়ে দেয় দালালরা। তারপরে এদেশে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরে কীভাবে তাদের এদেশে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় জাল আধার কার্ডেরও। শুধু ওই ৩ জনই নয় , তার আগে ত্রিপুরাতেই ধরা পড়েছিল ৬ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে। প্রশ্ন একটাই, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং ত্রিপুরার পুলিশ-সবই বিজেপির হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন ত্রিপুরায় আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ?

