প্রতিবেদন : শুক্রবার ভোররাত থেকে মাইক্রোসফটের ব্যাপক বিভ্রাটের জেরে গোটা বিশ্বে কম্পিউটার সিস্টেমে বেনজির বিপর্যয় তৈরি হয়। বিমান পরিবহণ, সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং, মিডিয়া-সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ব্যাহত হয়। দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরও ব্যাপক সংকট তৈরির সম্ভাবনা। মাইক্রোসফট বিপর্যয়ের কারণে ভারতে প্রায় সব বিমান পরিবহণ কোম্পানি প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়। ফলে টিকিট বুকিং, চেক-ইন এবং ফ্লাইট আপডেটের কাজ থমকে যায়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে বিমান সংস্থাগুলিকে ম্যানুয়ালি যাত্রীদের চেক-ইন করতে হয়। ফ্লাইট গ্রাউন্ডিং এবং ব্যাঙ্ক, স্টক এক্সচেঞ্জ, পেমেন্ট সিস্টেম এবং জরুরি পরিষেবাগুলি কার্যত পঙ্গু হয়ে যায়। মাইক্রোসফট বিভ্রাটের প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার প্রায় ছ’ঘণ্টা পর সংস্থার তরফে এক্স বার্তায় বলা হয়, আমাদের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে পরিস্থিতির ইতিবাচক অগ্রগতি ঘটেছে।
এদিনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়া। দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের মতে, এই বিভ্রাটে নিউজ প্যাকেজ তৈরির কাজও বন্ধ হয়ে যায়। সুপারমার্কেটগুলিতে বিভ্রাটের কারণে চেক আউট সিস্টেম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পুলিশি ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছিল। বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ উইন্ডোজ ব্যবহারকারী অকেজো ব্লু স্ক্রিনের সম্মুখীন হতে থাকেন। কিছু ক্ষেত্রে কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট করতে হয়। গুরুত্বপূর্ণ ডেটা অসংরক্ষিত হয়ে পড়ে। মাইক্রোসফট ৩৬৫ একটি বিবৃতিতে বলেছে, তারা এই সমস্যাটি তদন্ত করছে। ভারতে দিল্লি এবং মুম্বই বিমানবন্দর ছাড়াও মাইক্রোসফট বিভ্রাট বার্লিন বিমানবন্দর, স্পেনের সব বিমানবন্দর, জাপানের নারিতা বিমানবন্দর এবং সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকে প্রভাবিত করেছে বলে জানা গিয়েছে। মেলবোর্ন বিমানবন্দর জানায়, আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সমস্যায় কার্যত থমকে যায় এয়ারলাইন্সের চেক-ইন পদ্ধতি। শুক্রবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত মাইক্রোসফট বিভ্রাটের কারণে কলকাতায় আসা-যাওয়ার অন্তত ২৫টি উড়ান বাতিল করতে হয়। বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানান, বিভিন্ন বিমান সংস্থার কমপক্ষে ১৪টি উড়ানের যাওয়া এবং ১১টির আসা বাতিল করা হয়।
তথ্য-প্রযুক্তি, বিশ্ব-বিভ্রাট, বিপর্যস্ত বিমান ব্যাঙ্ক-মিডিয়া
শুক্রবার ভোররাত থেকে মাইক্রোসফটের ব্যাপক বিভ্রাটের জেরে গোটা বিশ্বে কম্পিউটার সিস্টেমে বেনজির বিপর্যয় তৈরি হয়।