প্রতিবেদন : সরকারি খাস জমির বেআইনি হস্তান্তর ঠেকাতে বাংলার ভূমি পোর্টালটিকে বিশেষভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। নয়া এই ব্যবস্থায় কোন জায়গায়, কোন দফতরের কত পরিমাণ সরকারি জমি রয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে পারবেন সবাই। ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টাল থেকেই এই সংক্রান্ত যাবতীয় খতিয়ান যে কেউ পেয়ে যাবেন। এর দরুন জমি কেনার সময় কেউ ঠকছেন কি না বা সরকারি জমির চরিত্র বদল করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে নাকি, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন ক্রেতারা। এখন মিউটেশন, জমির চরিত্র বদল, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আবেদন সবই ভূমি সংস্কার দফতরের নিজস্ব পোর্টাল বাংলার ভূমি মারফত অনলাইনে করা যায়। এর সঙ্গে সরকারি জমির তথ্যও সংযুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সরকারি জমির চরিত্র বদল করে বিক্রি ও দখলের অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে একাধিকবার বার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই সরকারি জমি দখলমুক্ত রাখতে রাজ্যের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত কোথায় কত পরিমাণ সরকারি জমি রয়েছে তা যে কেউ জানতে পারতেন না। এবার সবকিছু বাংলার ভূমি পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করে সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিল রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।