প্রতিবেদন : বাংলায় এসে শুধুই কথার ফুলঝুরি ফোটালেন অমিত শাহ। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ড ও সিবিআই তদন্ত নিয়ে একটা শব্দও খরচ করলেন না। এমনকী নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গেও দেখা না করেই বাংলা ছাড়লেন শাহ। মানবিকতার খাতিরেও তাঁদের একটু সময় দিলেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু রবিবার সল্টলেকে দলীয় সভা ও পেট্রোপোল সীমান্তে জনসভা করেই দিল্লি উড়ে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহকে চিঠি লিখে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশের পরই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই দেখা করা উচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কারণ, ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই শীর্ষ আদালতে চার্জশিটে জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সঞ্জয় রাই-ই ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের উপর ভরসা না হওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। দেখা করাটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। তাও এদিন অমানবিক আচরণ করে সেই সাক্ষাৎ এড়িয়ে গেলেন শাহ।
আরও পড়ুন-কর্মীরাই দলের সম্পদ, বীরভূমের একাধিক বিজয়ামঞ্চে মন্তব্য মন্ত্রীর
এই নিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ সমাজমাধ্যমে লেখেন, কেন অমিত শাহ আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মার সঙ্গে দেখা করলেন না? অবশ্যই দেখা করা উচিত ছিল। বাংলায় এঁরা শুধু রাজনৈতিক ভাষণ দিতে আসেন। কোনও দায়িত্বপালন করেন না। বিজেপির রাজ্যগুলিতে পরপর নারীনির্যাতন। তাই কি তিনি এড়িয়ে গেলেন? নাকি জানেন, কলকাতা পুলিশের তদন্ত ঠিকঠাক হয়েছে। এখানে নতুন কিছু বলার নেই। এই ইস্যুতে আর একটা কথাও বলার অধিকার বিজেপির নেই। গদ্দার অধিকারী এদিন বলেন, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আন্দোলন পুরোপুরি ব্যর্থ। অর্থাৎ তাঁরা নিজেরাই স্বীকার করে নিল, আরজি করের আন্দোলন থেকে তাঁরা কোনও ফায়দা তুলতে পারেনি। আবার এদিন কেন্দ্রকে দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারের রিটার্ন গিফট দিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বড়-বড় কথা বলে শাহকে খুশি করলেন একদা নকশালপন্থী অভিনেতা।