অমানবিক চিন

শাদলি জানিয়েছেন, চিনের কিকিহার মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন তাঁর ছেলে। কিন্তু করোনার কারণে দু বছর আগে তাঁর ছেলে বাড়ি ফিরে আসে

Must read

ছেলের স্বপ্ন ছিল সে ডাক্তার হবে। ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে ঘরবাড়ি বেচে টাকা জোগাড় করেছিলেন তামিলনাড়ুর পুদুকোট্টাইয়ের বাসিন্দা আবদুল হুসেন শাদলি। কিন্তু ছেলে শেখ আবদুল্লার আর ডাক্তার হওয়া হল না। শাদলি জানিয়েছেন, চিনের কিকিহার মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন তাঁর ছেলে। কিন্তু করোনার কারণে দু বছর আগে তাঁর ছেলে বাড়ি ফিরে আসে।

আরও পড়ুন-চাকরির বিজ্ঞাপনে বাঙালি-বিদ্বেষের, প্রতিবাদ তৃণমূলের

অনলাইনেই পড়শোনা চলছিল। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষ আবদুল্লাকে ইন্টার্ন হিসাবে কাজে যোগ দিতে বলে। ১১ ডিসেম্বর চিনে পৌঁছনোর পর ছেলেকে নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। সে সময়ই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আবদুল্লা। মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার ব্যাপারে কোনও সাহায্যই করেনি। ছেলের চিকিৎসার জন্য তিনি ফের ধারদেনা করে ৬ লাখ টাকা পাঠান। তার পরেও তাঁর কাছে ফের ২৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়। ১ জানুয়ারি আবদুল্লার মৃত্যু হয়। মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, টাকা দিতে পারলে তবেই ছেলের দেহ ফিরে পাবেন শাদলি।

Latest article