তিলজলায় (Tiljala) সাত বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন ও খুনের মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হল। ২০২৩-র ২৬ মার্চ ওই নির্মম ঘটনা ঘটে। এদিন ফাঁসির সাজা ঘোষণা করলেন আলিপুর আদালতের বিচারক। আলিপুরের বিশেষ POCSO আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য এই মর্মে বলেন, “এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। শিশুটির ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। নিজেকে বাঁচানোর ক্ষমতা ছিল না শিশুটির।”
আরও পড়ুন-ধ.র্ষণে অভিযুক্ত সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ কেরলে
গত বছর, ২৬শে মার্চ সাত বছরের একটি শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন এবং খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা এলাকা। অভিযুক্ত অলোক কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার দিন শিশুটির মা জানান রবিবার সকালে তিনি নিজের মেয়েকে ফ্ল্যাটের নীচে আবর্জনা ফেলার জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু শিশুটি আর বাড়ি ফেরে নি। এর মাঝেই তাকে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিশুটির মা জানান তার মেয়ের শরীরের কোনও অংশ নির্যাতন করতে বাদ দেয়নি। মুখ বেঁধে রেখেছিল। মেয়ের জিভও বেরিয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন-ফের নতুন করে জল ছাড়ল ডিভিসি, বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রাজ্যজুড়ে
উল্লেখ্য, সেদিন আবর্জনা ফেলতে ফ্ল্যাটের নীচে গেলেও মেয়েটি কুকুর দেখে ভয় পেয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে। সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় দোতলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শিশুটিকে টেনে নেন এই অভিযুক্ত। তার পর ঘরের ভিতর তাঁর উপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনায় ধৃত অলোক বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অপহরণ করে খুন এবং যৌন নির্যাতনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন অভিযুক্ত বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। শিশুটির মাথায় স্ক্রু ড্রাইভার জাতীয় কিছু দিয়ে ফুটো করার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। আঘাত ছিল কানেও। স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল।