অ্যাপ-নির্ভর পণ্য সরবরাহকারীদের সুরক্ষায় উদ্যোগ, শ্রমিক কল্যাণে নয়া পর্ষদ রাজ্যের

সম্প্রতি নবান্নে এ বিষয়ে একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন অর্থ, শ্রম এবং পরিবহণ দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসাররা।

Must read

প্রতিবেদন : অ্যাপ-নির্ভর পণ্য সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা দিতে উদ্যোগী হল রাজ্য। সুইগি, জ্যোমাটোর মতো সংস্থার কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি, দুর্ঘটনা বিমা-সহ অন্যান্য পরিষেবা দিতে একটি কল্যাণ পর্ষদ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে এ বিষয়ে একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন অর্থ, শ্রম এবং পরিবহণ দফতরের উচ্চপদস্থ অফিসাররা।

আরও পড়ুন-রুদ্রপ্রয়াগে ফের ধস, প্রাণ হারালেন ৪ জন

পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতেও বাড়ি বাড়ি পরিষেবা দিয়ে থাকেন সংস্থার কর্মীরা। তাঁদের স্বীকৃতি দিতেই রাজ্য সরকার এই পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কুপন বা কার্ড সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে দেবে। তারাই তা নিজেদের কর্মীদের মধ্যে বণ্টন করবে। পণ্য সরবরাহ সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা বাড়লেও তাদের কোনও সামাজিক সুরক্ষা নেই। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, অ্যাপ ভিত্তিক ক্যাব চালক থেকে গিগ শ্রমিকদের প্রতিদিন কাজ করতে হয় ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি। যাদের প্রায় ৪৫ শতাংশের দৈনিক রোজগার ৫০০ টাকারও কম। ওই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে অ্যাপভিত্তিক সরবরাহ কর্মীদের ৩৪ শতাংশের বেশি কর্মী মাসে ১০ হাজার টাকার কম রোজগার করেন। যদিও তাদের ৭৮ শতাংশকেই প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়। ওই সমীক্ষা রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে ৭৬ শতাংশ ডেলিভারি কর্মীরা তাদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। অ্যাপভিত্তিক ক্যাব চালকদের ৮০ শতাংশই কোম্পানি প্রদত্ত কমিশনে ক্ষুব্ধ। কোম্পানি তাঁদের কাছ থেকে প্রতি যাত্রায় কমিশন বাবদ ৩১ থেকে ৪০ শতাংশ কেটে নেয়। দাবি করে মাত্র ২০ শতাংশ কমিশন প্রাপ্তির। অ্যাপভিত্তিক ক্যাব-চালকদের ৮৩ শতাংশ দৈনিক ১০ ঘণ্টা গাড়ি চালান। ৬০ শতাংশ গাড়ি চালান ১২ ঘণ্টা এবং প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গাড়ি চালান প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা।

Latest article