প্রতিবেদন : যত দিন যাচ্ছে ক্রমশ বেরিয়ে পড়ছে বঙ্গ বিজেপির কঙ্কালসার চেহারা। সামনে আসছে একের পর কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি। ছড়াচ্ছে বিদ্রোহ। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরের সামনে রীতমতো ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন একদল বিজেপি কর্মী। তাঁদের দাবি, যোগ্যদের সরিয়ে অযোগ্যদের ফের দায়িত্বে আনা হচ্ছে। এর জেরে দল আরও ডুববে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, অযোগ্য রাজ্য নেতৃত্বের কারণেই বঙ্গ বিজেপির আজ এই পরিণতি। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিও দিলীপ ঘোষই মুখ খুলেছেন এনিয়ে।
আরও পড়ুন-রোপওয়েতে আর উঠবেন না পুতুল
পুরনোদের যাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সে দাবিও তুলেছেন তিনি। বিক্ষুব্ধদের নিশানায় যথারীতি অমিতাভ চক্রবর্তী, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো নেতারা। তাঁরা বলছেন, ভোট-পরবর্তী হিংসার পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে সহায়তা পাঠিয়েছিলেন সেই টাকাও ঠিকঠাক বণ্টন করা হয়নি। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জঙ্গিপুরে বিজেপি অফিস ভাঙচুর চালায় একদল বিক্ষুব্ধ কর্মী। এর ফলে মুর্শিদাবাদেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। দিন দু’য়েক আগে মুর্শিদাবাদ (দক্ষিণ)সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন মুর্শিদাবাদের বিজেপির বিধায়ক গৌরীশংকর ঘোষ এবং বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। মুর্শিদাবাদ (উত্তর) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষের বিরুদ্ধে দালালি করার অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক সাংবাদিক বৈঠক করেন একাধিক বিজেপি নেতা। তাঁরা ধনঞ্জয় ঘোষকে দ্রুত সরানোর দাবিও তোলেন।