বইমেলা মানেই মেলা বই। বইয়ের মহোৎসবও বলা যেতে পারে। ছোট-বড় প্রকাশকের স্টল থেকে ভেসে আসে নতুন বইয়ের গন্ধ। থাকে পুরোনো বইও। দেখা মেলে কিছু কিছু দুষ্প্রাপ্য বইয়ের। বেচাকেনা, লেখক-পাঠক মুখোমুখি— সবমিলিয়ে এক আনন্দ আয়োজন।
আরও পড়ুন-হোয়াটসঅ্যাপে আড়িপাতায় মার্কিন আদালতে দোষী পেগাসাসের নির্মাতা
পৃথিবীর অন্যতম সেরা বইমেলা আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। ২০২৫ সালের মেলা শুরু হবে ২৮ জানুয়ারি। বিকেল ৪টেয়, সল্টলেক বইমেলা প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবারের থিম কান্ট্রি জার্মানির বিশিষ্টজনেরা। এছাড়াও থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের কবি, সাহিত্যিক, গুণিজন এবং মন্ত্রীরা। মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, দ্য পার্ক হোটেলে মেলার উদ্যোক্তা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকাশিত হল ৪৮ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ম্যাসকট। ছিলেন গিল্ড সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে, কলকাতায় জার্মান কনসাল বারবারা ফস, কলকাতার গ্যোয়েটে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাড্রিস ভেগে প্রমুখ। জানা গেল, বইমেলায় থাকবে প্রায় ১০০০ স্টল ও টেবিল। অংশ নেবে ছোট, বড়, মাঝারি প্রকাশক ও লিটল ম্যাগাজিন।
এবারের বইমেলা সঠিক অর্থেই হতে চলেছে খোলা আকাশের নিচে বইমেলা। থাকবে না কোনও হল। যেখানে প্রধানত ইংরেজি বইয়ের প্রকাশকেরা উপস্থিত থাকতেন, তার জায়গায় তাঁদের জন্য বিশেষ স্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের সুবিধার জন্য স্টলের ভাড়া অনেকটাই কমানো হয়েছে। কারণ এবারের মেলায় তাঁরা নিজেরাই নিজেদের স্টল বানিয়ে নেবেন। গত বছরের তুলনায় বেশি ইংরেজি বইয়ের প্রকাশক যোগ দেবেন এবার।
সিনিয়র সিটিজেন দিবস ‘চির তরুণ’ উদযাপিত হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের নিয়ে থাকবে আলোচনা সভা। মেলার প্রথম রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হবে শিশু দিবস।
থাকবে মোট ৯টি গেট। প্রতিটি গেট দিয়েই মেলায় ঢোকা এবং বেরনো যাবে। একটি গেট হচ্ছে জার্মান সাহিত্যিক গ্যেয়েটের নামে, আরেকটি গেট জার্মান ভাষাবিদ ম্যাক্সমুলারের নামে।
আরও পড়ুন-মৃতদেহের সঙ্গে সঙ্গম ভয়াবহ অপরাধ হলেও তা ধর্ষণ নয়: ছত্তিসগড় হাইকোর্ট
বইমেলায় উদযাপিত হবে নারায়ণ সান্যাল, সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক, তপন সিনহা, অরুন্ধতী দেবীর জন্মশতবর্ষ এবং কাজী নজরুল ইসলাম ও জীবনানন্দ দাশের ১২৫তম জন্মবর্ষ পূর্তি। প্লে স্টোরে আসতে চলেছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার অ্যাপ। বইমেলা সরাসরি ভার্চুয়ালি দেখা যাবে গিল্ডের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ সাহিত্য উৎসব। অনুষ্ঠিত হবে ৬-৮ ফেব্রুয়ারি।
বাজল মেলার ঘণ্টা। তুমুল ব্যস্ততা কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ায়। যেভাবেই হোক সময়ের মধ্যে নতুন বই রেডি করে ফেলতে হবে। সারাবছর এই দিনগুলোর অপেক্ষায় থাকেন প্রকাশক, সম্পাদক, লেখক, পাঠকরা। মেলা তো অনেক হয়। তবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার মতো মেলা চোখে পড়ে না। এই মেলা সব মেলার সেরা।