আন্তর্জাতিক বিমান দুর্ঘটনা: কবে কোথায়

Must read

নেপালের বিমান দুর্ঘটনা (Plane crashes)। প্রাইভেট কোম্পানি ইয়েতি এয়ারলাইন্সের এটিআর ৭২ বিমানটি পর্যটন শহর পোখরায় অবতরণের পূর্বে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা সকল যাত্রী, ক্রু-সহ ৭২ জনই নিহত হন। সরকারি তদন্ত অনুযায়ী, পাইলটের টেকনিক্যাল ভুলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭ বিধ্বস্ত। ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ইউক্রেনে গুলির আঘাতে বিধ্বস্ত হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৭ বিমান। এতে বিমানে থাকা ২৯৮ জন যাত্রীই নিহত হন। দু’বছর আগে ডাচ কোর্ট এই দুর্ঘটনার পেছনে দুই রুশ নাগরিক ও একজন ইউক্রেনীয় নাগরিককে দোষী সাব্যস্ত করে এবং তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন।
এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৮২ বিধ্বস্ত।
১৯৮৫ সালের ২৩ জুন ৩২৯ জন লোক নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট কানাডা থেকে লন্ডন যাচ্ছিলেন। বিমানে থাকা একটি বোমা বিস্ফোরণে সকলেরই মৃত্যু হয়। এঁদের মধ্যে ২৪ জন ভারতীয় আর বাকি ২৬৮ জনের বেশিরভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। এই ঘটনায় সাগর থেকে মাত্র ১৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।
এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৪৭ দুর্ঘটনা
২০০৯ সালের ১ জুন এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৪৭ বিমানটি ২২৮ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয়। এটি ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো থেকে প্যারিস যাওয়ার পথে আটলান্টিক মহাসাগরে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৮১ দুর্ঘটনা। ১৯৭৪ সালের ৩ মার্চ তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৯৮১ ফ্রান্সে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটির কার্গো দরজায় নকশার ত্রুটি থাকার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তৎকালীন সময়ে এটি ছিল ইউরোপের এভিয়েশন ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা। এতে ৩৪৬ জন মৃত্যুবরণ করেন।
জাপান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১২৩ দুর্ঘটনা (Plane crashes)। ১৯৮৫ সালের ১২ অগাস্ট টোকিও থেকে ওসাকা যাওয়ার পথে জাপান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১২৩ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ৫২৪ জন আরোহীর মধ্যে ৫২০ জনই নিহত হন। বোয়িং টেকনিশিয়ানদের ত্রুটিপূর্ণ রিপেয়ারের ফলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়। যা কিনা নিহতের সংখ্যা বিবেচনায় আজ পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
ভারতের ছারখি দাদরিতে মুখোমুখি সংঘর্ষ। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর আকাশপথে বিমানের সবচেয়ে ভয়াবহ মুখোমুখি দুর্ঘটনা ঘটে ভারতের ছারখি দাদরি গ্রামে। দুই বিমানের সংঘর্ষে প্রায় ৩৪৯ জন নিহত হন। এর মধ্যে একটি ছিল সৌদিয়া ফ্লাইট ৭৬৩; যা দিল্লি থেকে সৌদি আরব যাচ্ছিল। অপরটি ছিল কাজাখস্তান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১৯০৭; যা চিমকেন্ট থেকে দিল্লিতে যাচ্ছিল।
আমেরিকান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১৯১ দুর্ঘটনা। ১৯৭৯ সালে ২৫ মে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৯১ শিকাগোতে বিধ্বস্ত হয়। উড্ডয়নের সময় বিমানের ইঞ্জিনে টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তৎকালীন সময়ে এটিই ছিল মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা, যাতে ২৭২ জন নিহত হন।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ৩৭০ দুর্ঘটনা। ২০১৪ সালে মার্চের ৮ তারিখের ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩৭০ বিমানটি। কুয়ালালামপুর থেকে চিনের বেইজিং যাওয়ার পথে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার পর প্রায় এক দশক হয়ে গেছে। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া এই বিমানটিতে ২৩৯ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ১২ জন ছিলেন ক্রু। বাকিরা সবাই যাত্রী এবং এই যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন চিনের।
আলাস্কা এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা। চলতি বছরের শুরুতে মাঝ আকাশে খসে পড়ে আলাস্কা এয়ালাইন্সের বোয়িং কোম্পানির ৭৩৭ ম্যাক্স ৯ বিমানের একটি জানালা ও বাইরের কিছু অংশ। এই অবস্থায় নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়।

আরও পড়ুন-দীপ নিভে গেল রূপানির পয়া ১২০৬ তারিখেই

Latest article