নতুন করে সংঘর্ষ মণিপুরের চূড়াচাঁদপুরে

জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে গুলি ছুঁড়ল পুলিশ

Must read

প্রতিবেদন : আবারও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠল মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর (Churachandpur- Manipur) শহরের পরিস্থিতি। শুক্রবার রাতে সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার সকালেই চূড়াচাঁদপুরে (Churachandpur- Manipur) ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বিক্ষুব্ধ জনতা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করার চেষ্টা করলে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এমনকী, টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেটের ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। বিজেপি শাসিত রাজ্যে পুলিশের এই ভূমিকায় চূড়াচাঁদপুরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে চূড়াচাঁদপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে ভাঙচুর চালায় জনতা। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। জেলাজুড়ে জারি হয় ১৪৪ ধারা। স্থগিত রাখা হয় মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা।

আরও পড়ুন- বোমা ফাটালেন শাস্ত্রী, একবারও নির্বাচনী সভায় থাকার আমন্ত্রণ পাইনি

জানা গিয়েছে, আদিবাসী ও উপজাতীয় নেতাদের ফোরামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় মানুষ। সম্প্রতি রাজ্যর বিজেপি সরকারের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জলাভূমি জরিপ ও সমীক্ষায় করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রবল আপত্তি জানায় আদিবাসীরা। তাদের ধারণা, বনাঞ্চল থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করতেই সরকারের এই পরিকল্পনা। আদিবাসী-অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গ্রামবাসীদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে ইন্ডিগো ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম শুক্রবার ৮ ঘণ্টার বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল।পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ থাকায় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের কর্মসূচিও বাতিল করা হয়। শুক্রবার বন্‌ধের সময় বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তাঁরা বেশ কিছু যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপরই বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে এবং শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, আদিবাসী ফোরাম বিক্ষোভ প্রত্যাহার করতে রাজি হওয়া সত্ত্বেও জেলা সদর থেকে পুলিশ বাহিনী তুলে না নেওয়ায় জনগণ ক্ষুব্ধ। বিক্ষুব্ধ জনতা তুইবং বাজার এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। ঘটনার জেরে সিলমাট ব্রিজে পুলিশ এবং স্থানীয় জনতার মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে শহরের সমস্ত প্রধান মোড় এবং বড় এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

Latest article