একান্ত সাক্ষাৎকারে খোলামেলা উত্তর দিলেন জাগোবাংলার প্রতিনিধি বাসুদেব ভট্টাচার্য-কে
কলেজ জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতি করেন। তখন থেকেই সমাজের জন্য কিছু করার প্রবণতা। তাই রাজনীতিতে আসা। জেলার শীর্ষ পদে বসার পর জনগণের জন্য কী কী কাজ করবেন, কেমনভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়ন পৌঁছে দেবেন উপভোক্তাদের কাছে, জানালেন সেকথা।
আরও পড়ুন-ফাইনালের আগে নীরজকে বার্তা নাদিমের, জ্যাভলিনের মঞ্চে আজ ভারত বনাম পাকিস্তান
গড়ে উঠেছে মানুষের পঞ্চায়েত। তাদের আশীর্বাদ নিয়ে ২০টি জেলা পরিষদেই তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। উঠে এসেছে একঝাঁক নতুন মুখ। যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর নারীদের সামনের সারিতে রেখেছেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজ তাঁদের অনেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি। আছে অনেক পুরনো মুখও। আমরা কথা বলেছি তাঁদের সঙ্গে। বাংলার মানুষের জন্য জেলা পরিষদ কীভাবে উন্নয়নের কাজ করবে, সেই ভাবনা সদ্য দায়িত্ব নেওয়া সভাধিপতিরা ভাগ করে নিয়েছেন জাগোবাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে। আজ জলপাইগুড়ি জেলা…
সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করেই উন্নয়ন করব
আরও পড়ুন-কাবাব-বিপ্লব
প্রথম দায়িত্ব কীভাবে দেখছেন? কী পরিকল্পনা?
উঃ প্রথমবার ২০১৮তে হেমতাবাদ ব্লকে জয়ী জেলা পরিষদ সদস্য ছিলাম। সেখানে মানুষের জন্য কাজ করেছি। এখন জেলা পরিষদের সভাধিপতি হওয়ার সুযোগ পেয়ে সম্পূর্ণ জেলায় কাজ করতে পারব। প্রথমেই মুখ্যমন্ত্রী, বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে চাই। জেলার সকল বিধায়ক, জেলা সভাপতি-সহ জেলা পরিষদ সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে জেলার উন্নয়নের কাজ করব।
আরও পড়ুন-কাবাব-বিপ্লব
স্বামী বিধায়ক গৌতম পাল, কীভাবে সাহায্য করেন?
উঃ দীর্ঘদিন রাজনীতিতে থাকা মানুষ। বর্তমানে করণদিঘি বিধানসভার বিধায়ক। স্বামী হিসেবে আমাকে খুব সাপোর্ট করেন। এমনকী কাজের ক্ষেত্রে কোথাও পরামর্শর প্রয়োজন হলেও তাঁর কাছে সাহায্য পাই।
রাজ্যে ফান্ড কম সেক্ষেত্রে এত বড় জেলার কাজ কী করবেন?
উঃ কেন্দ্র বরাবরই রাজ্যের বরাদ্দ টাকা আটকে উন্নয়ন স্তব্ধ করতে চায়। কিন্তু জেলা সভাধিপতি হিসেবে আমার কাজ জেলার উন্নয়ন। তাই আমার ১০০% চেষ্টা থাকবে জেলার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দর ব্যবস্থা করা। জেলার মানুষের জন্য উন্নয়ন করে দেখাব।
নয়টি ব্লকের জন্য আলাদা আলাদা কী করে পরিকল্পনা করছেন?
উঃ দায়িত্ব পেয়েছি। বৈঠক করে কাজের রূপরেখা তৈরি করব।
আরও পড়ুন-কালজয়ী সাহিত্যিক বিমল কর
যাঁরা সহযোগী হবেন তাঁদের জন্য কী নির্দেশিকা থাকবে?
উঃ সকলের সঙ্গে বৈঠক করে সকলকে নিজ নিজ কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
উন্নয়নের ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা কুৎসা ছড়াতে চায়, কীভাবে মোকাবিলা করবেন?
উঃ কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে গরিব মানুষের টাকা আটকে রেখেছে তা অমানবিক। তাই কেন্দ্রের ভূমিকার নিন্দার ভাষা নেই। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করে দেখিয়েছেন। আমিও মানুষের কাজ করে দেখাব। বিরোধীদের কথার কোনও মূল্য নেই।
দায়িত্ব নিয়েই প্রথম কোন কাজ করবেন?
উঃ বিগত আর্থিক বছরে যেসব কাজ প্রস্তাবিত হয়ে আছে আগে সেগুলো শুরু করা হবে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য কী চিন্তাভাবনা করছেন?
উঃ স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে এ-বিষয়ে কথা বলা হবে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
বিগত বোর্ডেও আপনি জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন, এবার জেলার সভাধিপতি দায়িত্ব নিয়ে আপনি কী কী নতুন কাজ করবেন?
উঃ বিগত বোর্ডেও কাজ হয়েছে। তবে যেসব কাজ এখন বাকি সেগুলো আগে করা হবে। তারপর গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে জোর দেওয়া হবে।
দুই শিশু সন্তানের মা আপনি। সংসার আর জেলার সভাধিপতির গুরুদায়িত্ব কীভাবে পালন করবেন?
উঃ বাংলার অগ্নিকন্যা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজে একজন মহিলা। গোটা রাজ্যকে ঢেলে সাজিয়েছেন। ত্রিস্তরীয় নির্বাচনে মহিলারা এবার জয়ের নিরিখে এগিয়ে। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আমাদের অনুপ্রাণিত করছেন এগিয়ে আসতে। তাঁর আশীর্বাদে সংসার সামলে জেলার এই গুরুদায়িত্ব ভালভাবে পালন করব।