প্রতিবেদন: বান্দ্রায় সইফ আলির বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপরে আসলে আক্রমণ চালিয়েছিল কে? দেখা দিয়েছে ঘোর সংশয়। সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছিল সেই ব্যক্তিই কি ধৃত বাংলাদেশি শরিফুল? নাকি সিসিটিভিতে ধরা পড়া ছবি অন্য কারও? এবার ধন্দে পড়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরাই। গোটা বিষয়টাকে আরও জটিল করে তুলেছে ধৃত শরিফুলের বাবার দাবি। শরিফুলের বাবা মহঃ রহুল আমিন নিজেকে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাবি করেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় যাকে দেখা গিয়েছে সে আমার ছেলে নয়। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে আমার ছেলেকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেছেন রহুল আমিন।
আরও পড়ুন-সৈকতে ধর্ষিতা তরুণী, বয়ানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
পুলিশ অবশ্য এই দাবি এবং অভিযোগকে পাত্তা দিতে রাজি নয় আদৌ। পুলিশ সাফ জানিয়েছে, তথ্য-প্রমাণ হাতে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে তদন্ত। ধৃতের হাতের ছাপ মিলে যাচ্ছে সিসিটিভিতে ধরা পড়া যুবকের হাতের সঙ্গে। তবে একইসঙ্গে খুলে যাচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি সন্দেহ এবং সম্ভাবনার দরজা। সন্দেহ, সিসিটিভিতে দেখা যাওয়া যুবকটি কি আসলে সইফেরই গাড়ির চালক? তার সঙ্গে কি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বাড়ির এক পরিচারিকার? সেই সূত্রেই কি সইফের বাড়ির প্রতিটি জায়গা এবং বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা ছিল আক্রমণকারীর? এই সম্ভাবনাকেই উস্কে দিচ্ছে আরও একটি রহস্য। কেন অটো-রিকশয় চাপিয়ে সইফকে নিয়ে যেতে হল হাসপাতালে? বাড়ির আউট-হাউসেই তো রাতে থাকার কথা ড্রাইভারের। তখন তাহলে তাকে পাওয়া গেল না কেন? আগে জানা গিয়েছিল, সইফকে হাসপাতালে নিয়ে ছুটেছিল তাঁর ছোটছেলে। এখন নায়কের দাবি, সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিল স্ত্রী করিনাও।
প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশকে দেওয়া বয়ানে কি কিছু লুকোতে চাইছেন আক্রান্ত নায়ক। পুরো
আক্রমণের ঘটনাটাই অবশ্য সাজানো বলে অভিযোগ করছে কয়েকটি রাজনৈতিক মহল। স্বাভাবিকভাবে অত্যন্ত দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন তদন্তকারীরাও।