প্রতিবেদন : কলকাতা লিগে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছে ডায়মন্ড হারবার। প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে এখনও অপরাজিত সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব। আগের ম্যাচে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে বড় জয়ের পর রবিবার কালীঘাট মিলন সংঘকেও দাপটে হারিয়ে সুপার সিক্স কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল ডায়মন্ড হারবার। নৈহাটি স্টেডিয়ামে কিবু ভিকুনার দল জিতল ৩-০ গোলে। ডায়মন্ড হারবারের তিন গোলদাতা গিরিক খোসলা, জবি জাস্টিন এবং সাইবর। গোল করে ও করিয়ে ম্যাচের সেরা জবি। গ্রুপ ‘এ’-তে ৯ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট ডায়মন্ড হারবারের।
কার্ড সমস্যার কারণে আগের ম্যাচে খিদিরপুরের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি জবি। এদিন মাঠে ফিরেই জয়ের নায়ক। লিগ টেবলের নীচের দিকে থাকা কালীঘাট এমএসের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি ডায়মন্ড হারবারকে। কালীঘাটের কৌশিক সরকার, সঞ্জয় মান্ডিরা ডায়মন্ডের উইং-প্লে বারবার রুখে দিচ্ছিলেন। জবি, রাহুল পাসোয়ানদের আক্রমণগুলো থেমে যাচ্ছিল ফাইনাল থার্ডে।
আরও পড়ুন-সাহস পেলাম, কুস্তিতে ফিরতে পারি : বিনেশ
ডায়মন্ড হারবার কোচ কিবু দ্বিতীয়ার্ধে রণকৌশলে বদল আনেন। জায়গা বদলে অনেক ফাঁকা জায়গা তৈরি করে কালীঘাট রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনেন ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলাররা। তাতেই গোলমুখ খুলে যায়। ৪৯ মিনিটে জবির সেন্টার থেকে হেডে গোল করেন গিরিক। গোল হজম করতেই কালীঘাটের রক্ষণব্যূহ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। ৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ডায়মন্ড হারবার। ফের জবি-গিরিকের যুগলবন্দিতে গোল। এবার গিরিকের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান জবি। মুহুর্মুহু আক্রমণে আরও সুযোগ তৈরি হয়। রাহুল পাসোয়ান সহজতম একটি সুযোগ নষ্ট করেন। ফ্রেশ লেগ আনতে তিনটি বদল করেন কিবু। জবি, রাহুল ও গিরিকের পরিবর্তে নামানো হয় সুপ্রিয় পণ্ডিত, লালসিয়েম ও সাইবরকে। তার ফলও মেলে। সংযুক্ত সময়ে সুপ্রিয়-সাইবরের যুগলবন্দিতে তৃতীয় গোল ডায়মন্ড হারবারের। বাঁ-দিক থেকে সুপ্রিয়র অসাধারণ সেন্টার থেকে গোল করেন সাইবর।
এদিন দলের পারফরম্যান্সে খুশি ডায়মন্ড হারবারের সহকারী কোচ দেবরাজ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দ্বিতীয়ার্ধে ভাল ফুটবল খেলেছি। প্রথমার্ধে গোলমুখ খুলতে পারছিলাম না। দ্বিতীয়ার্ধে পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগিয়েছে ছেলেরা।’’