সংবাদদাতা, বর্ধমান : বোরো চাষের জন্যে পাঁচ জেলায় ৬৮,৫৫০ একর জমিতে পৌঁছবে দামোদরের জল। মঙ্গলবার সেচমন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভিন্ন জেলার অধিকারিক, জেলা পরিষদের কর্তাদের নিয়ে এই বিষয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়, কোন জেলা কতটা জমিতে এই মরশুমে চাষের জন্য ডিভিসির জল পাবে। গতবারের মতো এবারও পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩৭ হাজার একরের মতো জমিতে ডিভিসির জলে চাষ হবে। অথচ জেলায় এবার বোরো চাষ হবে প্রায় ৪.২৭ লক্ষ একর জমিতে। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরেই বোরো মরশুমে ডিভিসির জল কম পাচ্ছেন চাষিরা। এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে এপ্রিল মাসের শেষ পর্যন্ত বোরো চাষের জন্যে জল ছাড়বে ডিভিসি। পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও হুগলিতে ১৫,২০০ হেক্টর, বাঁকুড়ায় ১১,৯০০ হেক্টর, হাওড়ায় ২৮০০ হেক্টর ও পশ্চিম বর্ধমানে ১৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের জন্যে ডিভিসির জল মিলবে।
আরও পড়ুন-সংবিধান অটুট রাখার দাবিতে শহরের রাজপথে প্রতিবাদে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস
রবি চাষের জন্যে ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৫০ হাজার একর জমির জন্যে জল মিলবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মেহবুব মণ্ডল বলেন, ভিডিও-বৈঠকে আমাদের জানানো হয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে ৮টি ব্লকের জন্য ৩৭ হাজার একর জমিতে সেচের জল মিলবে। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে আমরা ঠিক করব কোন কোন সেচখাল দিয়ে ওই জল নির্দিষ্ট ব্লকে পাঠানো হবে। এদিনের বৈঠকে দাবি তোলা হয়, ৩৭ হাজার নয়, বোরো চাষের জন্যে জেলায় ৫০ হাজার একর জমিতে সেচের জল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তা না হলে ভূগর্ভস্থ জলে চাষের জন্যে মজুত জল কমছে, পাশাপাশি বাড়ছে আর্সেনিক। বৈঠকে জানানো হয়, বোরো চাষের জন্যে পাঁচটি জেলার ২ লক্ষ ১৪ হাজার একর ফুট জল ছাড়া হবে। গত মরশুম থেকে ২ শতাংশ বেশি জল ছাড়ছে ডিভিসি। একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ডিভিসি জলাধারে ২ লক্ষ ৬৮ হাজার একর ফুট উদ্বৃত্ত জল রয়েছে। এর মধ্যে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সেল, আসানসোল পুরসভার জন্যে বরাদ্দ জল রেখে বাকিটা বোরো চাষের জন্যে ছাড়বে ডিভিসি। জানা গিয়েছে উদ্বৃত্ত জলের ১৫% রেখে বাকি ৮৫% বোরো চাষের জন্যে দেওয়া হচ্ছে।

