সংবাদদাতা, পাঁশকুড়া : কংসাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলমগ্ন পাঁশকুড়ার বিভিন্ন অংশ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পাঁশকুড়ায় পরিদর্শনে এলেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। শনিবার বিকেলে পাঁশকুড়ার গড় পুরুষোত্তমপুর এলাকায় নদীবাঁধ পরিদর্শনে যান মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান নন্দ মিশ্র, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুজিত রায়, বিডিও-সহ অন্যরা। নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীবাঁধ কী পর্যায়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন-ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে চালু হচ্ছে নিখরচার ডায়ালিসিস ইউনিট
পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলেন। স্থানীয়দের তরফ থেকে ডোমঘাট এলাকায় একটি ব্রিজের দাবি জানানো হয় মন্ত্রীকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন মন্ত্রী। এদিন গড় পুরুষোত্তমপুর এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি পাঁশকুড়ার বিডিও অফিসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মন্ত্রী। গত বছর নদীর জলস্তর বাড়ায় বন্যার সম্মুখীন হয় পাঁশকুড়ার বিভিন্ন অংশ। সে ক্ষেত্রে চলতি বছর যাতে পর্যাপ্ত খাবার, ত্রিপল, ঔষধ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখা হয় তার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যও। এদিন মন্ত্রী বলেন, গত বছর জুনে মেদিনীপুরে বৃষ্টি হয়েছিল ৫৮৭.০৬ মিমি। এ বছর ৬ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১১২৬ মিমি। আমার দীর্ঘ জীবনে যা আগে দেখিনি। এর ফলে আমরা দুদিক থেকে স্যান্ডউইচ হচ্ছি। ডিভিসিও বেহিসাবি জল ছেড়ে যাচ্ছে। আজকেও দশ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে রাজ্যকে না জানিয়েই। মাইথন, পাঞ্চেত, দুর্গাপুর ব্যারেজ সব মিলিয়ে বাংলাকে একদম স্যান্ডউইচ করে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দমার পাত্র নন। তিনি ২৪ ঘণ্টার ২১ ঘণ্টাই জেগে থাকেন। নিজে কন্ট্রোলরুমে বসে আছেন। আমি দেড় মাস মাঠে মাঠে ঘুরছি। গ্রামবাসীর কাছে হাতজড়ো করে প্রার্থনা করছি আপনারাও একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। সবাই মিলে বাঁচতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীও আপনাদের দিকে নজর রেখেছেন।