প্রতিবেদন : শেখ হাসিনা কি খুব শীগগিরি বাংলাদেশে ফিরছেন? তিনি কি দেশের খুব কাছাকাছিই আছেন? একটি ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ উসকে দিয়েছে এমন জল্পনাই। বৃহস্পতিবার তানভীর নামের এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ প্রকাশ্যে আসে। তিনি আদতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাসিন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি। এই অডিও ক্লিপিংসের সত্যতা সম্পর্কে অবশ্য পাওয়া যায়নি কোনও নিশ্চয়তা। জানা যায়নি সরকারিভাবে কোনও বক্তব্যও। একইভাবে আর একটি অডিও ক্লিপিংসে কথা শোনা গিয়েছে হাসিনাকে। সেটি যদি সত্যিই হাসিনার কণ্ঠস্বর হয় তবে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমি তো পদত্যাগ করি নাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস শেখ হাসিনার নয়া ফোনালাপ। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, আমাদের কনস্টিটিউশনের আর্টিক্যাল ৫৭ অনুযায়ী যেভাবে পদত্যাগ, আমার কিন্তু সেভাবে পদত্যাগ করা হয়নি। দাবি করা হচ্ছে, ফোনের অন্য প্রান্তের কণ্ঠস্বরটি নোয়াখালির সোনাইমুড়ি থানার ছাত্রলিগের এক প্রাক্তন নেতার। যিনি এখন বেলজিয়ামে। জবাবে ছাত্রলিগের প্রাক্তন নেতা বলছেন, ইনশাআল্লাহ আপা, আপনি চলে আসবেন তো। আর বেশিদিন নাই।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম নির্দেশের অপব্যাখ্যা বিজেপির, ফাইলে সই করতে বাধা নেই কেজরির
এদিকে বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হচ্ছেন, হাসিনাকে জানান তানভীর। তাঁর কথায়, মামলা চাপিয়ে দেওয়ার কারণে নেতারা এলাকায় থাকতে পারছেন না, বাধ্য হয়ে এলাকার বাহিরে অবস্থান করছে নেতা-কর্মীরা। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সবার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দেওয়া হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ১১৩টি মামলা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ফিরে গেলে ওই নেতাকেও আইনি সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে সতর্ক করেন শেখ হাসিনা।