প্রতিবেদন : ২০১৯-এর পরিস্থিতি আর ২০২৪-এর পরিস্থিতি এক নয়। গত পাঁচ বছরে গঙ্গা-যমুনা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বিজেপির একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রীর ঢালাও মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে দেশবাসী বিরক্ত। এর সঙ্গে রয়েছে সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারেই মোদি ও বিজেপির অনুকূলে নেই। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ব্যাপক টেনশনে বিজেপি। এমনকী এও বলা হচ্ছে, এবার কি তবে মোদির বিদায়!
আরও পড়ুন-পোলিং এজেন্ট এবং দলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন নেত্রী
লোকসভাও কি আজ ত্রিশঙ্কুর পথে? এই দুটি ঘটনাই ঘটার মতো সবরকম মশলা মজুত রয়েছে। অপেক্ষা শুধু গণনার। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই দেশবাসীর নজর থাকবে টেলিভিশনের পর্দায়, সোশ্যাল মিডিয়ায়। আব কি বার ৪০০ পার যে হচ্ছে না সেটা বুঝে গিয়েছে বিজেপি। বরং বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও আসন কমবে। আর দাক্ষিণাত্যে তো বিজেপির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। যে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সব থেকে বেশি আসন পেয়েছে, এবার সেখানেও অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি জোট টক্কর দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে তাদের ফল বেশ ভাল হতে চলেছে। আসন কমছে বিজেপির। এছাড়া বিহার, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা,দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যার অনেক আগে আটকে যেতে পারে বিজেপি। সেই সঙ্গে উত্তর ভারতেও আশানুরূপ ফল হবে না। সার্বিকভাবে তাই আসন সংখ্যা অনেক নিচে নেমে আসবে। রইল বাকি বাংলা। এখানেও যে বিজেপি আর ১৮টি আসন পাওয়ার জায়গায় নেই তা বিলক্ষণ জানেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই ২০২১-এর মতো ২০২৪-এও প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বকে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে হয়েছে। এরপরেও এই বাংলায় বিজেপির ভাল ফল করা কার্যত অসম্ভব। জিতছে তৃণমুল কংগ্রেসই। নিশ্চিতভাবেই আজকের পর তাই ইন্ডিয়া জোটের তৎপরতাও বাড়বে।