সুপর্ণা দে
দিঘায় জগন্নাথ ধাম (Digha Jagannath Dham)। শাস্ত্র মতে, বিষ্ণুর কোনও মন্দিরকেই ধাম বলা যায়। এই ‘জগন্নাথ ধাম’ নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন পুরীর রাজা গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব। তার জবাবও দিয়েছে ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য রাধারমণ দাস। রবিবার এক সংবাদসংস্থাকে পুরীর গজপতি মহারাজ জানিয়েছেন, জগন্নাথ ধাম তকমা এবং পুরীর জগন্নাথ-সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে তাঁরা কপিরাইট পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর পাল্টা দিয়ে রাধারমণ দাস বলেছেন, রাজা গজপতি আইনত সঠিন নন। ভারতে বহু সম্প্রদায় রয়েছে। আদালত বলতে পারে না কীভাবে কী পুজো হবে। আমার মনে হয় এইরকমভাবে কপিরাইট দেওয়া সম্ভব নয়। আমি বুঝতে পারছি না কী করতে চাইছেন। কিন্তু ভারতে জগন্নাথ ধামে কপিরাইট সম্ভব নয়। পুরীর মহারাজ শঙ্করাচার্যকে অনুসরণ করেন আমরা গৌড়ীয় বৈষ্ণব, চৈতন্য মহাপ্রভুকে অনুসরণ করি। ধাম নিয়ে এত সমস্যা যখন তাহলে পুরীর গজপতির বাড়ির নাম শান্তি ধাম কীভাবে? প্রশ্ন তুলেছেন রাধারমণ দাস।
আরও পড়ুন-গ্রামের রামমন্দিরে প্রবেশ নিষেধ দলিতদের, অধিকার নেই পুজো করার, প্রসাদ পাওয়ারও
এবছর সূর্যাস্তের পর পুরীতে রথের চাকা গড়ানোর ঘটনা নিয়েও গজপতি দিব্যসিংহ দেব ইসকনের দিকেই আঙুল তুলেছেন। এ নিয়ে রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, ওদের নিয়ম অনুযায়ী সূর্যাস্তের পর রথ চলে না। কিন্তু ওদের নিয়ম ওরাই ভেঙেছে। সূর্যাস্তের পর রথ যেখানে থাক ওখানেই থেমে যায়। কিন্তু এবার রাত ৮টার সময় ওঁরা বলরামের রথ টেনেছে, প্রথম ভুল। তারপর সুভদ্রার রথ টেনেছে এটা দ্বিতীয় ভুল। আর তৃতীয় ভুল, রথের দিন জগন্নাথের রথ একটুও গড়ায়নি। পরের দিন জগন্নাথের রথ টানা হয়েছে। পুরীর গজপতি একটা আঙুল ইসকনের দিকে তুলেছিলেন এদিকে বাকি তিনটে আঙুল ওঁদের দিকেই ছিল। তোমাদের নিয়ম তোমারাই অনুসরণ করলে না।
জগন্নাথ ধাম (Digha Jagannath Dham) নিয়ে যদি ওড়িশা রাজ্য আদালতে যায় তা নিয়ে তো আমাদের আর কিছু বলার থাকবেই না। ১০০ শতাংশ জানি যে আদালত এটা বলবে না যে, শঙ্করাচার্যের যা নিয়ম আছে এটাই সমস্ত মন্দিরগুলিকে মেনে চলতে হবে।