প্রতিবেদন: একদা গর্বের উড়ান কি শেষমেশ দুঃস্বপ্নের বিমানযাত্রার সমার্থক হয়ে উঠল? বৃহস্পতিবার আমেদাবাদের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় লন্ডনগামী ড্রিমলাইনার কয়েক লহমায় ছাই হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে মৃত্যুমিছিল। কিন্তু এই ঘটনাই শুধু নয়, ড্রিমলাইনারের অতীতের ট্র্যাকরেকর্ডে দেখা যাচ্ছে এই উড়ান কীভাবে আতঙ্কযাত্রা হয়ে উঠেছে নানা সময়ে।
২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর : বৈদুতিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় ড্রিমলাইনারের যাত্রীকেবিন গরম হতে থাকে। আমেরিকার নিউ অরলিন্সের কাছে সেই বিপত্তি।
৮ ডিসেম্বর : দোহার কাছে জেনারেটর বিপর্যয় ড্রিমলাইনারে।
২৪ ডিসেম্বর : ওকাইয়ামার কাছে ড্রিমলাইনারের উইন্ডশিল্ড ফাটা।
২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি : মাৎসুয়ামার কাছে ড্রিমলাইনারের উইন্ডশিল্ডে ফাটল।
আরও পড়ুন-বিমানের বিপদসংকেত
১১ জুন : টোকিওর কাছে বরফ আটকে বিকল ইঞ্জিন।
২০ জুন : লন্ডন থেকে হাউসটন যাওয়ার পথে ড্রিমলাইনারের ইঞ্জিনে জ্বালানি ঘাটতির সঙ্কেত আসায় ১১০ মিনিট পরে নিউজার্সি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন পাইলটরা। প্রাণ বাঁচে ২১৮জন যাত্রী ও ১৫জন ক্রু-র।
১৮ জুন : ডেনভার থেকে টোকিও যাওয়ার পথে সিয়াটেলের আকাশে বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। পাইলটের দক্ষতায় কোনওক্রমে তা আবার চালু করা সম্ভব হয়।
জানা যাচ্ছে, প্রতি বছরই এরকম নানা গোলযোগ ও যান্ত্রিক ত্রুটিবিচ্যুতির কারণে এখনও পর্যন্ত দুনিয়া জুড়ে প্রায় ৩০৪ বার বিপদের সম্মুখীন হয়েছে ড্রিমলাইনার বিমান। বিশ্বের বিভিন্ন যাত্রাপথে এবং বিমানবন্দরে ড্রিমলাইনার বিমানটি কার্যত আতঙ্কযাত্রার সমার্থক হয়ে
উঠেছে। এরমধ্যে আমেদাবাদের লন্ডনগামী উড়ানের বিপর্যয় সব রেকর্ডকে ভেঙে দিল, যা দুঃস্বপ্নের
ও মর্মান্তিক।