এই নাকি বন্ধুত্বের নমুনা! শুল্কের পর এইচ-ওয়ান বি ভিসাতেও কোপ

ভারতের উপর একের পর এক কোপ বসাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। রফতানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক জরিমানার পর এবার এইচ-১বি ভিসা পাওয়ার রাস্তা কঠিন করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Must read

ওয়াশিংটন: এই নাকি মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্ব! ভারতের উপর একের পর এক কোপ বসাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। রফতানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক জরিমানার পর এবার এইচ-১বি ভিসা পাওয়ার রাস্তা কঠিন করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত নয়া নির্দেশনামায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে ভারতীয়রাই।
ট্রাম্প প্রশাসনের নয়া নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, এবার থেকে এইচ-১বি ভিসার জন্য বছরে এক লক্ষ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা) করে দিতে হবে। তা দেবে মার্কিন সংস্থাগুলি। অর্থাৎ আমেরিকার বাইরে কোনও দেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করলেই বছরে মোটা টাকা গুণতে হবে মার্কিন সংস্থাগুলিকে। ফলে বিদেশি মেধা এবং বিশেষত ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়োগে অনীহা দেখা দেবে মার্কিনি সংস্থাগুলির। এতে ধাক্কা খাবেন গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত ভারতীয় মেধাবীরা। কারণ মেধার জোরে আমেরিকার বেশিরভাগ টেক কোম্পানিগুলিতে কাজ করছেন বিপুল সংখ্যক ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ।

আরও পড়ুন-স্মৃতির কীর্তির দিনে সিরিজ হার ভারতের

এইচ-১বি ভিসা নিয়েই আমেরিকার সংস্থাগুলিতে কাজ করেন বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা। ভারত ছাড়াও চিনের নতুন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের ক্ষেত্রেও চিন্তা বাড়াল ট্রাম্পের এই নয়া পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবলমাত্র মার্কিন সংস্থায় মার্কিনিদের নিয়োগ বাড়াতেই এই পদক্ষেপ। বহু দক্ষ কর্মী ভারত ও চিন থেকেই আমেরিকাতে টেক কোম্পানিগুলিতে যায়। এছাড়াও মার্কিন সংস্থাগুলির প্রথম পছন্দের তালিকাতেও রয়েছে বিদেশি দক্ষ কর্মীরাই। সেই ইস্যুতে এবার নিজের দেশের সংস্থাগুলির উপর চাপ তৈরি করলেন ট্রাম্প।
২০২৪ সালে আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসা থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছেন ভারতের কর্মীরা। ৭১ শতাংশ আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই চিন। সেখান থেকে ১১.৭ শতাংশ ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রাম চালু হয়। বছরে ৮৫ হাজার জনকে ভিসা মঞ্জুর করা হয়। আমেরিকার বর্তমান ফার্স্ট লেডি মেলোনিয়া ট্রাম্পও ১৯৯৬ সালে মডেলিংয়ের কাজের জন্য এই ভিসা নিয়ে আমেরিকায় এসেছিলেন। অ্যামাজন, টিসিএস, মেটা, আইবিএম-এর মতো একাধিক কোম্পানি এই ভিসার মাধ্যমে প্রচুর বিদেশি কর্মী নিয়োগ করে। এই ভিসার মাধ্যমে একাধিক মার্কিন কোম্পানি প্রচুর ভারতীয় কর্মীদেরও নিয়োগ করে। ই-মার্কেটার অ্যানালিস্ট জেরেমি গোল্ডম্যান আশঙ্কা করছেন, স্বল্পমেয়াদে প্রোটেকশনিজম সাফল্য হিসেবে মনে হতে পারে। কিন্তু
দীর্ঘমেয়াদে আমেরিকার উদ্ভাবনী ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এই পদক্ষেপ।

Latest article