ইসকনের জগন্নাথদেবের মাসির বাড়িতে দিন কাটছে মহানন্দে

রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেব তাঁর মাসির বাড়িতে এলে তাঁকে ৫৬ ভোট নিবেদন করেন মাসির বাড়ির অধিবাসীরা। এমনই প্রথা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।

Must read

অর্ক দাস, নদিয়া: রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেব তাঁর মাসির বাড়িতে এলে তাঁকে ৫৬ ভোট নিবেদন করেন মাসির বাড়ির অধিবাসীরা। এমনই প্রথা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে মায়াপুর ইসকন মন্দিরের জগন্নাথদেব মহানন্দে দিন কাটাচ্ছেন তাঁর মাসির বাড়িতে। আসলে নামে ৫৬ ভোগ হলেও, রোজকার পদের সংখ্যা আড়াইশোরও বেশি। জগন্নাথসেবায় কোনও ত্রুটি রাখেননি ইসকন মন্দিরের সেবায়েতরা। মায়াপুরের রাজাপুর মন্দির থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসকন মন্দিরের ভিতরে পঞ্চতত্ত্ব মন্দিরে জগন্নাথদেব বলরাম ও সুভদ্রার জন্য গুণ্ডিচা তৈরি করা হয়েছে।সকাল-বিকেল-রাত সেখানেই মহাআনন্দে দেশিবিদেশি রকমারি পদে ভোজ সারছেন তিন দেবদেবী। কী নেই সেই পদে?

আরও পড়ুন-২১-এর জনপ্লাবনের ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রস্তুতি সভা

বাঙালি পদের মধ্যে ভাত ডাল সবজি ভাজা পায়েস রকমারি পিঠেপুলি থেকে শুরু করে চাইনিজ চাওমিন, ইউরোপিয়ান খানাপিনা পাস্তা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ডোনাট ছাড়াও চটপটা ফুচকা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতীয় পদ ধোসা ইডলি থেকে শুরু করে গুজরাটি ঢোকলা, ফাপড়া, গাঁটিয়া থেকে শুরু করে সব কিছু রয়েছে মেনুতে। মিষ্টির হরেক রকম আইটেম, পঞ্চাশ ব্যঞ্জন বলাই ভাল, আছে রসগোল্লা চমচম পান্ডুয়া ছানার জিলিপি রসমালাই ক্ষীরসাগর রাবড়ি থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছুই। এত সব আয়োজনের জন্য প্রতিদিন ভোর চারটে থেকে ইসকন মন্দিরের রাঁধুনি ও তাঁর সহযোগীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এর পর প্রতিদিন সেই প্রসাদ পান হাজারো ভক্ত। রথযাত্রার দিন থেকে উল্টোরথ অবধি জগন্নাথদেব-বলরাম-সুভদ্রাকে নিয়ে তিন বেলা খাওয়াদাওয়া করে তাঁরা রওনা দেন নিজের নিজের বাড়ির পথে। শুধু ইসকনে মন্দিরের রাঁধুনিরাই নন, অগণিত ভক্তকুল নিজের পছন্দমতো নিরামিষ খাবার রান্না করে মন্দিরে নিয়ে আসেন জগন্নাথদেবের জন্য। আর জগন্নাথদেব ভক্তদের সেই প্রসাদ তিন বেলা গ্রহণ করে ভক্তদের মধ্যেই বিলিয়ে দেন।

Latest article