সংবাদদাতা, হাওড়া : বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আপ ইস্পাত এক্সপ্রেস (Ispat Express)। রবিবার সকালে সাঁতরগাছি স্টেশনে ঢোকার মুখে আপ ইস্পাত এক্সপ্রেসের দুটি বগির মাঝের কাপলিং খুলে গেল। ফলে দুটি কামরা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেল ট্রেনের ইঞ্জিন। বিকট শব্দে ও ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে গেল ট্রেনের বাকি বগিগুলি। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঘটা এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। জানা গেছে, সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়েছিল আপ ইস্পাত এক্সপ্রেস (Ispat Express)। সাঁতরাগাছি ঢোকার আগে বাকসাড়া গেটের কাছে চলন্ত ট্রেনের দ্বিতীয় কামরার কাপলিংটি হঠাৎই খুলে যায়। তার জেরে সামনের দিকের দুটি কামরা নিয়ে এগিয়ে যায় ইঞ্জিন। কিন্তু পড়ে থাকে ট্রেনটির বাকি অংশ। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিকট ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায় বাকি বগিগুলি। এর জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। তাঁরা দেখেন সামনের দুটি বগি নিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে গিয়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রেলের ইঞ্জিনিয়র ও কর্মীরা। বগির মাঝে খুলে যাওয়া কাপলিং জুড়ে ঘণ্টা দুয়েক পরে ফের ট্রেনটি সাঁতরাগাছি থেকে যাত্রা শুরু করে। এর জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরি জানান, ‘ট্রেনটির যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি ছিল কিনা তা দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কোচের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। মেটিরিয়াল সংক্রান্ত কোনও ত্রুটি ছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।’ তবে এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন যাত্রীরা বলছেন, ‘হাওড়া থেকে ছাড়ার ২০ মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটল। তার মানে রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক হয়নি। যাত্রী-সুরক্ষার বিষয় রেলের কোনও নজর নেই, সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। ট্রেনের গতিবেগ বেশি থাকলে এক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতী: পিছু হঠলেন উপাচার্য, তুলে নিলেন সাসপেনশন