প্রতিবেদন : যু্দ্ধবিরতির প্রস্তাব এড়িয়ে সংঘর্ষের ঝাঁজ বাড়াচ্ছে ইজরায়েল (Israel- Gaza)। উত্তর গাজার পর মধ্য গাজাতেও দখলদারি কায়েমের পথে নেতানিয়াহুর দেশ। এর পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার খসড়াতে সম্মতি দিতে দেরি করছে আমেরিকা। নতুন খসড়ায় তাদের সম্মতির আভাস পাওয়া গেলেও শুক্রবারও তা চূড়ান্ত করা যায়নি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে প্যালেস্টাইন সমর্থকদের হাতে নিগ্রহের হাত থেকে কোনওক্রমে বাঁচেন এক ইহুদি দম্পতি। প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য দেশেও।
গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্যালেস্টাইন ও ইজরায়েলের (Israel- Gaza) যুদ্ধে সাধারণ মানুষের মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। হামাসের দাবি, এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আমল না দিয়ে সংঘর্ষ জারি রাখার কথা বলছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর একবগ্গা মনোভাবে চরম ক্ষুব্ধ হামাসের হাতে আটক পণবন্দিদের পরিজনরা। বন্দিমুক্তির দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। শুক্রবারও মধ্য গাজার অনেকটা দখলে নেয় ইজরায়েলি সেনা। এপর্যন্ত গাজায় অবরুদ্ধ ও আহত মানুষদের জল থেকে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে ইজরায়েল। যদিও সেই পরিষেবায় ব্যাপক ঘাটতি থাকায় এবার সাধারণ মানুষকে রেশন ও ওষুধ সহ ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পথে যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ। এক্ষেত্রেও বাধা। ইজরায়েলের বন্ধু দেশ আমেরিকার সম্মতি এখনও না মেলায় সেই প্রক্রিয়া এখনও আটকে রয়েছে।সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘ মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাবের যে খসড়া বানিয়েছে তাতে আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাব্য যে পথে যাওয়া যায়, তাতেই পৌঁছনোর কথা বলা হয়েছে। সেই প্রস্তাবে আমেরিকা সমর্থন জানানোর আভাস দিয়েছে। তবে তা যতক্ষণ না চূড়ান্ত হচ্ছে এবং সাহায্য পাঠানো শুরু হচ্ছে ততদিন আরও দুর্ভোগের মধ্যেই কাটাতে হবে পণবন্দি ও আহতদের। যার ফলে আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বিশ্বের অন্যত্র এই দু’দেশের নাগরিকদের পারস্পরিক সম্পর্ক।
আরও পড়ুন- ৭০ কোটি টাকার ব্যবসা, নতুন নজির ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের