প্রতিবেদন : পণবন্দি দুই মার্কিন মহিলাকে মুক্তি দেওয়ার পর প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস প্রস্তাব দেয়, অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলে বাকি পণবন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার বৃহস্পতিবার সরাসরি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা।
আরও পড়ুন-আলোর বেণুর মূর্ছনায় বোলপুর
গত ৭ অক্টোবর ভোরে হামাসের অতর্কিত হামলার পর ধারাবাহিকভাবে গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিমানহানা চালালেও এবার স্থলপথে অভিযান শুরুর ঘোষণা করেছে তেল আভিভ। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার গাজা ভূখণ্ডে সম্ভাব্য ইজরায়েলি আগ্রাসনের মোকাবিলার পথ খুঁজতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লার সঙ্গে বৈঠকে বসেন হামাস এবং আর এক প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী প্যালেস্তিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের নেতৃত্ব। বুধবারই গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি সেনার হামলায় নিহত অসামরিক প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের সংখ্যা ছ’হাজার পেরিয়েছে। মোট নিহতের সংখ্যা ৬,৫৪৫। আহত প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার। আর এক প্যালেস্তিনীয় ভূখণ্ড ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজরায়েলি হামলার বলি ১০৩। আহত ১,৮২৩ জন। অন্যদিকে, হামাসের হামলাতেও এ-পর্যন্ত ১,৪০৫ জন ইজরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি।হেজবুল্লার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই হবে।