প্রতিবেদন : যাদবপুরে প্রথম বর্ষের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে। গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্তরা। মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্ট পর্যন্ত। ঘুরে গিয়েছেন ইউজিসি প্রতিনিধিরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে র্যাগিং মোকাবিলায় কি প্রযুক্তি ব্যবহার সম্ভব? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন প্রশ্নের খোঁজ চেয়েছিল ইসরোর কাছে। ইসরোর কাছে অনুরোধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার। তাঁদের অনুরোধে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছে ইসরোর প্রতিনিধি দল৷ মঙ্গলবার প্রথম দিনের পর বুধবারও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন দলের সদস্যেরা।
আরও পড়ুন-বিজেপি নেতাজির আদর্শের পরিপন্থী, দল ছাড়লেন চন্দ্রকুমার বসু
এদিন প্রথমে মহিলা হস্টেল ও নিউ বয়েজ হস্টেল ঘুরে দেখেন তাঁরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার ছবি তোলার পাশাপাশি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন নোটও নেন। কিছু নথিও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। এদিন তাঁরা মূলত মেইন হস্টেলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখার পর ক্যাম্পাসেও যান। গিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দুই প্রতিনিধি। কোথায়, কী প্রযুক্তি ব্যবহার করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করায় সুবিধা হবে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পর ইসরোর তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সে-বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন-৭০ লক্ষ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিল রাজ্য
ইসরোর দু’জন প্রতিনিধি মঙ্গলবারেও যাদবপুরে গিয়েছিলেন। তবে মঙ্গলবার তাঁরা শুধু ক্যাম্পাসে ঘুরেছেন। বুধবার ইসরোর দল গেল মেইন হস্টেলের সেই এ২ ব্লকে, যেখানে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল, সেই জায়গাটি বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। ইসরোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ।