অনীশ ঘোষ: উত্তর ২৪ পরগনার সাদামাঠা মফসসল শহর মছলন্দপুরে ছোট্ট টিনের চালের ভগ্নপ্রায় পলেস্তারা খসা বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা, বড় হওয়া ইসরোর গবেষক বিজ্ঞানী নীলাদ্রি মৈত্রর। আজও সেখানেই থাকেন পরিবারের অন্যরা। সেই বাড়িটি এই মুহূর্তে আলোকিত হয়ে উঠেছে নীলাদ্রির জন্য। গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে এখন আলোচনার বিষয় ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর উৎক্ষেপণের সাফল্য কাহিনি। তারই শরিক এই বাড়ির সদস্য মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুর হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র নীলাদ্রিও।
আরও পড়ুন-শহরে ৪০টি চার্জিং স্টেশন গড়ছে পুরসভা
ছোটবেলা থেকেই এই স্কুলের মেধাবী ছাত্রটির মহাকাশ নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা ছিল। একসময় দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোতে চাকরির সুযোগও পেয়ে যান। সেখানকারর গবেষক হিসাবেই তিনি বর্তমানে কেরলে কর্মরত। চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণের পিছনে রয়েছে তাঁরও ভূমিকা। এই কর্মযজ্ঞে শামিল হতে পেরে নীলাদ্রি নিজে গর্বিত, গর্বিত তাঁর পরিবার-পরিজনও। চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের আগে তার সামনে দাঁড়িয়ে নীলাদ্রি তাঁর কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই সেইসব ছবি নিয়ে উদ্দীপনা ছড়ায় তাঁর পরিচিত মহলে। নীলাদ্রির এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর ছাত্রবেলার রাজবল্লভপুর হাইস্কুলের শিক্ষক থেকে পড়ুয়ারা সবাই।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
এই স্কুলের অনেক প্রাক্তনীই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাফল্যের সঙ্গে জীবনে প্রতিষ্ঠিত। মফসসল শহরের এই স্কুলটি এর আগেও বহু উজ্জ্বল ও প্রতিভাবান ছাত্র উপহার দিয়েছে বাংলা তথা দেশকে। ভবিষ্যতেও নীলাদ্রির মতো আরও অনেক ছাত্র গড়ে আবারও এভাবে এই স্কুল গর্বিত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলতে চায়।